কৃষককে যথাযথ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
কৃষির উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই কৃষকের প্রতি সবার সম্মান জন্মাবে। তবে এখন দেখা যায় কৃষকের ছেলে পড়াশোনা শিখে কৃষক হতে চায় না। কোনো কোনো সময় তো বাবার পরিচয়ও দিতে চায় না সে ছেলে। এটি যেন না হয়। সে জন্য কৃষকে তার যথাযথ সম্মান দিতে হবে।
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু ঘরে বসে মজার মজার ফল ও খাদ্য খেলেই হবে না। জানতে হবে কোন ফসল কী করে হয়, কেমন করে জন্মায়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এ বিষয়ে জানলেই আগামীতে আরও কৃষির উন্নতি সম্ভব।
শেখ হাসিনা বলেন, সব ছাত্র-ছাত্রীকে মাঠে যেতে হবে। শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় তাদের কৃষি মাঠে নিয়ে যাওয়া উচিত। স্কুল-কলেজে এ জন্য যদি অতিরিক্ত নম্বরের ব্যবস্থাও করা লাগে তবে সেটি করতে হবে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ কৃষি বিষয়ক সুপরিকল্পনা গড়ে তুলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন থেকেই আমরা সঠিক কৃষিবান্ধব ব্যবস্থা নিয়েছি। একটি বাড়ি একটি খামার করেছি। দীর্ঘদিন গবেষণা করে এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার পাইলট প্রকল্প ছিল গাজীপুরের শ্রীপুরে। তবে ২০০১ সালে সবই ধ্বংস করে দিল বিএনপি-জামায়াত।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি, যা ২ কোটি কৃষক পাচ্ছেন। এছাড়া দেওয়া হচ্ছে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সুবিধা, যা এক কোটি কৃষক পাচ্ছেন। আমরা দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা চালু করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে আছি এখন। বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি বলেছিল দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। এতে বিদেশি সাহায্য আসবে না। চিন্তা-চেতনায় কী পার্থক্য আমাদের সঙ্গে তাদের, একবার এটি ভাবুন।
দেশের উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করা আওয়ামী লীগের ‘দেশপ্রেম’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাদ্য উৎপাদন ও অন্যান্য যে সকল কৃষি উপকরণ করেছিলেন তা বিএনপি ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়। এমনকি সেই সময়ে কৃষকদের কোনো সহায়তা দেওয়া হয়নি। কারণ সে সময় যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা শুধু ব্যবসা আর নিজেদের ভাগ্য গড়তে এসেছিলেন। এখানে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করলে তারা বাণিজ্য করতে পারবেন না। সে জন্য তারা কৃষকদের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন না। তারা আমদানি করে কীভাবে দু’পয়সা নিজেদের পকেটে নিযে আসবে তা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ করবো আমরা। এ জন্য চাই কৃষির আরও উন্নতিসাধন। এছাড়া ২০২০ সালে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবো। আশা করছি তখনই প্রায় এক বছর আগে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, কিংবদন্তির কথা বলছি- সর্বশ্রেষ্ঠ কিংবদন্তি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তার হাতের ছোঁয়া পরশপাথর। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সফল হয়েছেন। দেশের উন্নয়ন করেছেন। এদেশের মানুষ সারাজীবন তাকে কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ রাখবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের চিন্তার বাইরে উন্নতি করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেই ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ কর্মসূচি শুরু করেন। তিনি কৃষকও বাঁচিয়েছেন, দেশও বাঁচিয়েছেন। দেশের উন্নতি করেছেন। তবে ২০০১ সালে বিএনপি জোট ক্ষমতায় এসে দেশে অন্ধকার নিয়ে আসে। তবে ২০০৯ সালে ফের সুযোগ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন শুরু করলেন। সব দিন থেকে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। কৃষি বিষয়ে যদি কোনো জরিপ হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী এক নম্বরে থাকবেন- কারণ শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থেই জনবান্ধব, বাংলার গরীব মানুষের মমতাময়ী মা’।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন