কৃষক সহায়তার টাকা ও বীজ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিতরণের অভিযোগ
গত কয়েক বছর মওসুমের শুরুতে পরিমিত বৃষ্টি না হওয়ায় আউশ চাষ ব্যাহত হলেও পরে আবহাওয়া অনুকূলে আসায় উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ধানের উৎপাদন বাড়লেও কৃষককের মুখে হাসি নেই। আউশ ও রবি মওসুমের কৃষক সহায়তার টাকা ও বীজ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিতরণ হয় বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। এতে করে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধিতে ধান চাষের উৎপাদন খরচ জুটছে না। যার ফলে চরম হতাশায় পড়েছেন এই এলাকার কৃষকরা।
অনুসন্ধানে উপজেলার বালানগর, ভবানীগঞ্জ, শিকদারী, মোহনগঞ্জ, তাহেরপুর, গোপালপুর, মোহাম্মাদপুর, নন্দনপুর, দেউলিয়া, এলাকা এবং উপজেলা হতে জেলা সড়কের রাস্তার উভয় পাশে যেদিকে দু’ চোখ যায় সেদিকে আউশ ধানের শীষ দুলতে দেখা যাচ্ছে মাঠে মাঠে। উবশী জাতের আউশ ধান পেকে উঠলেও আউশ হাইব্রিড হিরা, আবতাব, টিয়া, ফলন, রাইচার, শক্তিসহ অন্যান্য জাতের ধান পাকতে সপ্তাহ লাগবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে আউশ উবশি জাতের ধান তুলতে কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
বালা নগর গ্রামের কৃষক আবদুর রহিম জানান, ১ বিঘা জমিতে এবারে আউশ মওসুমের ধান চাষ করতে ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ৫০০/৬০০ টাকা দামে ধান বিক্রি চলছে। শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধিতে ধান চাষে লাভ নেই। বিঘা প্রতি ২ হাজর থেকে ৩ হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে। শ্যামপুর গ্রামের হারেজ উদ্দিন একই ভাবে জানান, ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে পুষচ্ছে না। তার দু’ বিঘা আউশ উবর্শি জাতের ধান কাটা পড়েছে। বাঁকি ধান শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধিতে ধান কাটাতে পুষাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
বাসুপাড়া ইউনিয়নের মোহম্মাাদপুর, নন্দনপুর, বালানগর ও শ্যামপুর গ্রামের কৃষক, ময়েন উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, বয়েন উদ্দিনসহ অনেকে জানান, ভর্তুকির টাকা গ্রামের যারা পেয়ে থাকে এবারে তাদের অধিকাংশ কৃষক না অথচ তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হয়। গত দিনে কৃষকদের রবি ও খরিফ মওসুমের কৃষকদের সহায়তার সার ওবীজ পেয়েছে অধিকাংশ চেয়ারম্যানের লোকজন।
এছাড়া স্থানীয় নেতা দলীয় ভাবে চেয়ারম্যান মেম্বার এগুলো নিয়ে টাকার মাধ্যমে বিতরণ করে বলে কৃষকরা দাবি করেছেন। ভানীগঞ্জ দানগাছির বাচ্চু রহমান, আব্দুর করিম, দেউরিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনসহ অনেক কৃষক জানান, পূর্ব পুরুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত, বর্তমানে ধান চাষে নিঃশ্ব হয়ে গেলাম।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবারে উপজেলায় ১১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। গত মওসুমে বোরো ও আউস ধানের ফলন বিপর্যয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবারে এলাকায় অনেক বেশী জমিতে আউশ আবাদ করা হয়েছে। এলাকার মাটি উবর্র হওয়ায় এখানে অন্যান্য ফসলের ন্যায় প্রচুর পরিমান ধান উৎপাদন হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেবিস্তারিত পড়ুন
সংঘর্ষের ঘটনায় রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা, গ্রেপ্তার ১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেবিস্তারিত পড়ুন
স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ২০
বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গেবিস্তারিত পড়ুন