কেনিয়ায় ভোট মানেই নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ উদযাপন
নির্বাচন। যা নাকি দেশের সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক হাতিয়ার, সুষ্ঠু প্রশাসন, সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যম। তার জেরেই রক্তের বন্যা দেখেছে কেনিয়া। শুধুমাত্র একটা নির্বাচনই কেড়ে নিয়েছে ১২০০-রও বেশি মানুষের প্রাণ। ধর্ষণের শিকার হয়েছে শয়ে নারী-পুরুষ-শিশু। ২০০৭-এ দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে-পরে বীভত্সতম অত্যাচারের সাক্ষী থেকেছে কেনিয়া। বিভিন্ন এনজিও’র মাধ্যমে যা ধীরে ধীরে গোটা দুনিয়ার সামনে আসছে।
২০০৭-এর নির্বাচনের আগে প্রায় গৃহযুদ্ধে মেতেছিল কেনিয়া। তিন রাজনৈতিক দলের উন্মত্ত হত্যালীলায় মৃত্যু হয়েছিল ১২০০-রও বেশি মানুষের। আর এই নরমেধ যজ্ঞে যারা জিতে যায়, তাদের নিষ্ঠুরতম আক্রমণের মুখে পড়ে অজস্র কেনিয়াবাসী। ঘরে ঘরে ঢুকে শুরু হয় নির্বিচার ধর্ষণ। বাদ যায়নি বৃদ্ধা, শিশু এমনকি পুরুষরাও। নিত্য-নতুন পদ্ধতিতে সেই অত্যাচারে কেউ সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়, কারোর মৃত্যু হয় তখনই। গণধর্ষণের দগদগে স্মৃতি তাদের মনে গেঁথে যায় বরাবরের মতো।
এমনই একজন কেনিয়ার এক অশিতীপর বৃদ্ধ বাবা। তার মেয়েদের গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতিরা। সেই বীভত্স উল্লাসে ওই বৃদ্ধকেও যোগ দিতে চাপ দেয় তারা। নিজের মেয়েদের ধর্ষণের প্রস্তাবে তিনি রাজি না হওয়ায় অত্যাচারীর লালসার শিকার হতে হয় তাঁকেও। ৫০ বছরের এক নারী জানিয়েছেন তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকে তার কোমর আর তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা। নিজে থেকে আর কোনো কাজই তিনি করতে পারেন না। সেই সময় ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই আজও নিজেদের স্থায়ী কোনো ঠিকানা খুঁজে পাননি।
সূত্র: এই সময়
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন