কেন ঝোপেঝাড়ে ঘনিষ্ঠ ভারতীয়রা ‘পর্ন’ বললেই নাক সিঁটকোন?
ভিক্টোরিয়া থেকে দক্ষিণের লেক বা সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, ঝোপেঝাড়ে কী হয়, সব ব্রহ্মা জানেন। কিন্তু ‘পর্ন’ বললেই এহেন পুঙ্গবরা নাক সিঁটকে অন্য দিকে মুখ ঘোরান কেন?
পার্কে বা সিনেমা হলের কোণে, ঘনিষ্ঠভাবে যুবক-যুবতীদের বসে থাকার দৃশ্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু এমন একটি ব্যবস্থায় পর্নোগ্রাফি কী করে ট্যাবু হল, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত যা উঠে এসেছে, তা মূলত তিনটি ভাগে দেখা যায়।
১. মানসিকতা- ছেলেরা পর্ন দেখলে বাড়ন্ত বয়সের উৎসাহ আর মেয়েরা পর্ন দেখলেই ‘ছিঃ’-গোত্রের কথা এখনও শোনা যায়। বুঝতে অসুবিধা হয় না, সমস্যাটা ঠিক কোথায়। এ ছাড়া পর্ন দেখা এখনও এখানে পাপ বলে মনে করা হয়। পর্ন-দর্শন এবং নগ্নতার প্রতি আকর্ষণ যে মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতি, তাকে ধামাচাপা দেওয়ার একটা চেষ্টা সবসময়েই চলতে থাকে। ফলে, প্রেমিকাকে নির্জনে পেলে যাবতীয় আকাঙ্ক্ষা আছড়ে পড়ে।
২. সেক্স নিয়ে কল্পনা- ভদ্রতার দোহাই দিয়ে পর্ন-দর্শন অবশ্যই আটকে দেওয়া যায়। কিন্তু মনের বল্গাহীন ঘোড়ার মুখে লাগাম পরাবে কে? কল্পনায় যৌনতা পূর্ণতা পায় না কারণ পর্নোগ্রাফি দেখা সম্ভব হয় না। অগত্যা একাকী প্রেমিকাকে হাতের সামনে পাওয়ার তাগিদ বাড়ে।
৩. ব্যক্তিগত জীবন- ভারতীয় সমাজে ছেলেমেয়েরা বেড়ে ওঠে পরিবারের কঠোর অনুশাসনে। তারুণ্য পেরিয়ে যৌবনে পৌঁছলেও পরিবারের কড়া নজর যায় না। এমন পরিবেশে পর্নোগ্রাফি দেখার সুযোগ এবং সাহস, কোনওটাই হয় না গড়পরতা ভারতীয় ছেলেমেয়ের। ধরা পড়লে কী হবে, সে ভয় কাজ করেই। তুলনায় নলবন, সেন্ট্রাল পার্ক বা ভিক্টোরিয়ার ঝোপে বাবা-মা-কাকাদের যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
প্রকাশ্যে জানালেনঃ দুই পরিচালকের সঙ্গে ‘প্রেম’ ছিল পায়েলের
টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বনামধন্য দুজন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও আবিরবিস্তারিত পড়ুন
প্রথম ‘সন্তানের’ জন্মলগ্নে কেঁদেছিলেন দেব ! দায়িত্ব অনেকটাই একা সামলাচ্ছেন তিনি
শিরোনাম পড়ে ভাবছেন, নায়ক দেব তো বিয়েই করেননি, তাহলে সন্তানবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত বাবা রাম রহিমের আয় কত, অনেকেই জানেনা?
ভারতের বিতর্কীত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিমের পঞ্জাব, হরিয়ানায় স্থাবর সম্পত্তিরবিস্তারিত পড়ুন