কেরানীগঞ্জে পুলিশ-ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন রুহিতপুর ইউনিয়নের পোড়াহাটি এলাকায় ডাকাতির মালামাল উদ্ধারের অভিযানকালে ধৃত ডাকাতদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ডিবি পুলিশ ও কেরানীগঞ্জের দুই থানা পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোনতাজুল ইসলাম (৩৫) ও সাইদ আহম্মেদ ওরফে সবুজ (৩৪) নামের দুই ডাকাত নিহত হয়েছে।
পুলিশের দাবি নিহত দুইজন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও জঙ্গি ছিল। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি রিভলবার, গুলি, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে। আহতরা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন। আহতরা হচ্ছে ডিবি ওসি মোল্লা সোয়েব আলী, এস আই রবি চরণ চৌহান, এসআই বিপুল চন্দ্র দাস, এএস আই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল সামিউল ।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজানুর রহমান শাফিউর প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত বুধবার দক্ষিন কেরানীগঞ্জের নতুন রাস্তায় ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ যৌথ টিম চেক পোস্ট করাকালীন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ডাকাতি মামলা আসামী আন্তঃজেলা ডাকাত মোনতাজুল ইসলাম(৩৫) ও সাইদ আহম্মেদ ওরফে সবুজ (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশী করে ১টি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় আস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধিন পোড়াহাটি ও বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় তাদের অন্য সহযোগি এবং ডাকাতি করা মালামাল ও অস্ত্র রয়েছে।
ওই রাতেই পৌনে ১টার সময় গ্রেপ্তারকৃত দুই ডাকাতকে নিয়ে ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) ওসি মোল্লা সোয়েব আলী, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম এবং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এর নেতৃত্বে একটি যৌথ টিম রুহিতপুর পোড়াহাট্টি এলাকায় ডাকাতি মালামাল উদ্ধারের জন্য গেলে ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধৃত ডাকাতদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশ লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। উভয়ের মধ্যে ১০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। পরে গুলির শব্দ বন্দ হয়ে গেলে জৈনেক ইমান আলীর জমিতে মোনতাজুল ও সবুজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশের গুলির মুখে পড়ে তাদের সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ আহত অবস্থায় দুই ডাকাতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লা মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এস এম রাশেদ তাদের মৃত ঘোষনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থ থেকে ১টি রিভলবার, গুলি, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। দুইজনের বুকে, মাথা, চোখে গুলি লাগে। তিনি আরো বচলেন, ডাকাত সর্দার মোতাজুলের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা-৩টি, সিলেট কোতয়ালী-১টি , কুমিল্লা জেলায় ২টি, ফরিদপুর-১টি খুন,ডাকাতি, অস্ত্র আইনে ৭টি মামলা ও সবুজের নামে ঢাকা জেলার ধামরাই , কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় ৩টি মামলা রয়েছে ।
পুলিশ সুপার নিহত মোনতাজের ছবি তার মোব্ইালে ফেসবুকে দেখিয়ে বলেন, সে জঙ্গি অর্থায়নে ডাকাতি করতো। সে জঙ্গি ছিল। রাজধানীর কামরাঙীরচর আস্রাফবাদ এলাকায় তার বিশাল এক ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর রয়েছে। সেখানে তিনি ডাকাতি মালামাল রেখে বেচা বিক্রি করে জঙ্গিদের অর্থায়নের যোগান দিতেন।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিপাত হি জাহান এর নেতৃত্বে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক তিনটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা: শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এরবিস্তারিত পড়ুন