শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কে এই লিটন?

স্কুলছাত্রকে নিজ পিস্তল দিয়ে গুলিবিদ্ধ করার পর থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সরকারদলীয় এমপি মনজুুরুল ইসলাম লিটনের। তার সব অন্যায় ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের মানুষ। সুন্দরগঞ্জে অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া গেছে তার নানা কীর্তিকলাপের তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনজুরুল ইসলাম লিটন উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আশরাফ আলী মাস্টার। যুবক বয়স থেকেই বেশির ভাগ সময় কেটেছে ঢাকায় মেঘনা ঘাটে একটি জাহাজ নির্মাণ কারখানায়। ঢাকায় থাকাকালীন ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য হন লিটন।

২০০৩ সালে গুলি ছুড়ে ও ভয়ভীতি সৃষ্টি করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন তিনি। একই সালের ১৪ নভেম্বর একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী ফলগাছা গ্রামের রওশনারা বেগম ভোরে ঢাকা থেকে বামনডাঙ্গা ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হন মনজুরুল ইসলাম লিটনের হাতে। হাত ফসকে পালিয়ে রওশন আরা আশ্রয় নেন বামনডাঙ্গা রেলওয়ে মসজিদে। এ সময় তাকে ধরতে মাতাল অবস্থায় মসজিদে ঢুকে গুলি করেন লিটন।

২০০৫ সালে জড়িয়ে পড়েন বেসরকারি রেলওয়ে বাণিজ্যে। ১ হাজার ৮৮৮ জন শ্রমিক-কর্মচারীর ১৪ মাসের বেতনভাতা প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন ভুক্তিভোগীরা। ২০০৮ সালে ব্যাংক ঋণ নিয়ে আশরাফ আলী হিমাগার নির্মাণ করেন মনজুরুল ইসলাম লিটন। ব্যাংক ঋণের দায়ে প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পথে বসে এ প্রতিষ্ঠানটি।

আওয়ামী লীগ নবম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় বেড়ে যায় তার অপরাধপ্রবণতার মাত্রা। ২০১৩ সালে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেন এলাকার অসহায়, গরিব চাষিরা। যথাসময়ে আলু ফেরত না দিয়ে বিক্রি করে গা ঢাকা দেন লিটন।

রামভদ্রা সরকাির উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক জহির উদ্দিন সরদার আজও ভুলতে পারেননি ২০১৪ সালের ৮ আগস্টের কথা। সেদিন তিনি এমপি লিটনের কাছে গিয়েছিলেন বিদ্যালয়ের স্যানিটেশন কাজের জন্য আসা ৪লাখ টাকা সরকারি অনুদানে এমপির আপত্তি তুলে নেয়ার অনুরোধ জানাতে। কিন্তু সেদিন এমপি লিটন অতিথি কক্ষে সবার সামনেই তার নাকেমুখে বেশ কয়েকবার ধাপ্পর মেরেছিলেন। সেদিন তিনি অপমান গ্লানি বয়ে ক্ষোভে দু:খে ফিরে এসেছিলেন।

শুধু তাই নয়, স্থানীয় এক প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেখা করতে গেলে এমপি লিটন তাকে ‌’ চোরের মত চেহারা বলে অপমান করেন। এভাবে লিটন আরো অনেক শিক্ষককে অপমান করেন।

এভাবে লিটন গুলির ভয় দেখিয়ে তার নির্বাচনী এলাকার তিনটি কলেজের কমিটি বাতিল করে নিজের ইচ্ছামত গঠন করেছিলেন।

সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগ, এমপি লিটন শুধু এলাকার আতঙ্কই ছিলেন না, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বামনডাঙ্গার কালিতলায় যাত্রামঞ্চে মদপান অবস্থায় নর্তকীর সাথে নাচগান করতে দেখে বিস্মিত হন এলাকার মানুষ। ২০১১ সালের ২২ জুলাই সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জাতীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্কুল চত্বরে প্রবেশ করে ফাঁকা গুলি করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়িতেও আকস্মিক গুলি বর্ষণ করেন এই লিটন।

২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে এমপি হন তিনি। তার নির্দেশে বামনডাঙ্গার পাশে মন্মথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলি করে হত্যা করা হয় স্থানীয় খামার ব্যবসায়ী এবং এলাকার জনপ্রিয় যুুবক শাহাবুল ইসলামকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২৬ জুন সুন্দরগঞ্জ আ: মজিদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জামায়াতের জনসভা ছিল। তৎকালীন প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখিয়ে ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে নির্বাচনী জনসভাটি ভুরারঘাট সিনিয়ার মাদরাসা মাঠে নেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের সাবেক আমির মরহুম প্রফেসর গোলাম আযম। অনুষ্ঠান শেষে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ বাড়ি ফেরার পথে ছাইতানতলা এলাকায় রাস্তায় বেরিকেড দেন বর্তমান এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। ছোড়েন গুলি। এতে গুলিবিদ্ধ হন পীরগাছার কাজী শহীদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও রাজা মিয়াসহ ছয়জন। তাদের অনেকেই এখন অসহায় জীবন যাপন করছেন।

লিটনের সম্পদ
নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত তথ্য অনুযায়ী তিনি সাত ভাইবোনের মধ্যে ষষ্ঠ। তিনি আনন্দগ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজের পরিচালক ও ধামমণ্ডি এলাকার একটি বাড়ির মালিক। গাইবান্ধার বাড়িটি ১২ বিঘা জমির উপর। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ বামনডাঙ্গা বাজারের কাছে আশরাফ কোল্ড স্টোরেজ নামে ছয়তলা একটি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তার মা আলতাফুন নেসা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একজন মাঠকর্মী ছিলেন। তার বাবা স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক আশরাফ আলী ১৯৫০ সালের দিকে মুসলিম লীগের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন।

ভাইবোনদের মধ্যে তার এক বোন যুগ্মসচিব, একজন আনন্দ বিল্ডার্স এর মালিক, এক বোনের বিয়ে হয়েছে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সাথে, অন্য একবোনের বিয়ে হয়েছে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে।

তার একভাই কানাডায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অপর ভাই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আড়াই বছর পর কারাগার থেকে বের হলেন পি কে হালদার

বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতেরবিস্তারিত পড়ুন

আয়কর রিটার্ন জমার সময় আবারও এক মাস বাড়লো

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২৫ করবর্ষেরর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরওবিস্তারিত পড়ুন

বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুলকে

বিদেশে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • প্রেস সচিব: শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
  • প্রধান উপদেষ্টা: প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে
  • মিরপুরে জেনেভা ক্যাম্পে আগুন
  • বেতন বাড়ছে নারী ক্রিকেটারদের, কে কত পাবেন?
  • ‘বিপিএল মিউজিক ফেস্ট’ থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাবেন রাহাত ফতেহ আলী
  • কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
  • মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কেটেছে
  • রেমিট্যান্স প্রবাহে সুবাতাস, ২১ দিনে এলো ২৪,০০০ কোটি টাকা
  • বাংলাদেশের জন্য ১.১ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন এডিবি-বিশ্বব্যাংকের
  • খালেদা জিয়া লন্ডন যেতে পারেন যেদিন
  • শীতে যেসব খাবার খেলে শিশুরা সুস্থ থাকবে
  • বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন বেবী নাজনীন-জয়া