কোটালীপাড়া বোমা মামলার রায় আজঃ ১৭ বছর আগের লোমহর্ষক সেই ঘটনা !
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ১৭ বছর আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় করা মামলার রায় আজ রবিবার ঘোষণা করা হবে।
গত ১০ আগস্ট ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের এ দুই মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে অন্য একটি মামলায়। এ কারণে তার নাম এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাকিদের মধ্যে ১২ জন কারাগারে রয়েছেন এবং ১২ জন পলাতক রযেছে।
বন্দি আসামিরা: মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিপন, মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী, ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, আনিসুল ইসলাম আনিস, মাওলানা সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রউফ ওরফে মুফতি আব্দুর রউফ ওরফে আ. রাজ্জাক ওরফে আবু ওমর, হাফেজ ইয়াহিয়া।
পলাতক আসামিরা: মুন্সি ইব্রাহিম, মো. শাহনেওয়াজ ওরফে মো.আজিজুল হক, ইউসুফ ওরফে মোহসাব মোড়ল, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল হক, মিজানুর রহমান, খন্দকার মো. কামাল উদ্দিন সাকের, সারোয়ার হোসেন মিয়া, মুন্সি ইব্রাহিম, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আ. হাই।
২০০০ সালের ২২ জুলাই কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল যে অভিযোগপত্র দেন, তাতে আসামি করা হয় ১৬ জনকে। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন নতুন করে ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে মুজাহিদ ট্রেনিংপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশি নামক সংগঠনের সদস্য হন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জে বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। কারখানায় আসামিদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে আসামি মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী আসামিরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখত। প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসার কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। পরে ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়া এলাকায় নিয়ে রাতের আধারে তা পুঁতে রাখেন।
মামলাটিতে ৮৩ জন সাক্ষীর ৬৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি শেষে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। কয়েকটি তারিখে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন বিচারক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন