কোথায় আছেন, কেমন আছেন মুনমুন, ময়ূরী ও পলি?
একটা সময় ছিল ঢালিউডে, যে সময়ে কোন নতুন সিনেমা মুক্তি পাওয়া মানেই, ওরা তিন জনের যে কেউ থাকবেই। পরিবর্তনের ছোঁয়ায় হারিয়েছে গেছে তারা। মুনমুন, ময়ূরী এবং পলি এখন কোথায় — এমন কৌতুল অতীত দর্শকের অনেকের মধ্যেই আছে। এদেশের নায়িকারা যখন আর পর্দায় থাকেন না, কর্মহীন হয়ে পড়েন ইন্ডাষ্ট্রিতে তখন তারা বিদেশ চলে যান কাজের খোঁজে। অথবা বিয়ে করে সংসারী হন, যা বেশিদিন টেকেনা। টিকলেও সেটা থাকে নানা গুজব গুঞ্জনে ভরপুর। এসব কারণে তারা পত্র-পত্রিকায় অহরহ আসতে থাকেন।
মুনমুন:
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মুনমুন যতটা না নায়িকা হিসেবে পরিচিত তার চেয়ে অনেক বেশী সমালোচিত অশ্লীল চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হিসেবে। ১৯৯৭ সালে মৌমাছি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করলেও শীঘ্রই তিনি বি-গ্রেডের চলচ্চিত্রের প্রধান নায়িকা হয়ে যান এবং তাকে কেন্দ্র করেই অশ্লীলতা নির্ভর অ্যাকশন চলচ্চিত্র নির্মিত হতে শুরু করে। বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে অশ্লীল যুগের অন্যতম প্রধান নায়িকা মুনমুন অশ্লীলতা বন্ধের পর চলচ্চিত্র থেকে ছিটকে পড়েন। শোনা যায় এ সময় তিনি জীবিকার জন্য যাত্রায়ও অভিনয় করেন। দীর্ঘদিন পরে কুমারী মা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পুনরায় ফিরে আসলেও স্থায়ী হতে পারেন নি মুনমুন। মুনমুনের জন্ম ইরাকে হলেও তার পৈতৃকবাড়ি চট্টগ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও শেষ পর্যন্ত সংসার টিকে নি বলে শোনা যায়। মুনমুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা আ্ইএ।
পলি:
চিত্রনায়িকা পলিকে বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকমাত্রই অশ্লীল ছবির নায়িকা হিসেবে এক নামে চিনেন। মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ফায়ার ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করেছিলেন পলি। এ ছবিটির শুটিং হয় ব্যাংককে। তখনই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে, তিনি ব্যাংককের নগ্ন বারে নগ্ন হয়ে অভিনয় করেছেন। অভিযোগ উঠলেও ছবিতে সে দৃশ্য দেখা যায়নি। কিন্তু অশ্লীল এবং সমালোচিত ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা পলি কখনোই মূলধারার সুস্থ ছবির নায়িকা হয়ে উঠতে পারেননি। অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা যায় পলি বর্তমানে গুলশানে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। দুটি যমজসহ তার চার সন্তান রয়েছে। চলচ্চিত্রে আর অভিনয় ইচ্ছা নেই তার।
ময়ূরী:
নব্বই দশকের শেষের দিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে চিত্রনায়িকা ময়ূরীর আগমন ঘটে। কাটপিস সিনেমার সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। তখন এ অভিনেত্রী স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বেশকিছু অশ্লীল সিনেমায় দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। দেশীয় চলচ্চিত্র সুস্থ ধারায় ফিরলে অনেকটাই অন্তরালে চলে যান এ অভিনেত্রী।দুই বছর আগে ‘ডার্টি পিকচার’ সিনেমার আদলে একটি সিনেমা নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন ময়ূরী। তবে এটিও এখন বন্ধ রেখেছেন।চলচ্চিত্রের কোনো কাজ তার হাতে নেই। তিনি এখন স্টেজ শোয়ে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া তার মেয়েকে নিয়ে বাসায়ই সময় কাটাচ্ছেন। বছরের শুরুর দিকে দেশের বাইরে যাওয়ার কথাও ভাবছেন বলে জানান এ অভিনেত্রী।
ময়ূরী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মৃত্যুর মুখে’ এবং সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘বাংলা ভাই’। নব্বই দশক থেকে এ পর্যন্ত ময়ূরী অভিনীত তিনশত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোতে তিনি যতটা প্রশংসিত হয়েছেন তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন। নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’ শিরোনামের সিনেমায় শক্তিমান চলচ্চিত্রাভিনেতা আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন ময়ূরী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন