কোন পেশার ছেলেদের পছন্দ করেন মহিলারা? জানুন..
অর্থ যেমন থাকবে, তেমনি দরকার সম্মান। আর এই দু’ধরনের বিষয় যে পেশার সঙ্গে জড়িত, মহিলারা সেদিকে বেশি নজর দেন।
ফাঁকা পকেটের প্রেমিক! অথচ, প্রেমিকা খুঁজছেন? সাবধান! পার্সে ফুটো অথচ প্রেমের খায়েশ— সব দৌড়ে পালাবে। তাই, এমন প্রেম করার আগে অন্তত জেনে নিন মেয়েদের পছন্দদের পেশার মানুষদের।
১. ভাল ছাত্র, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ— আগে থেকে বুক করে রাখলে ভাল। আগামী দিনের ইনভেস্টমেন্ট। ছেড়ে দিলে আর যদি না মেলে! পরে ভাল না লাগলে অপশন তো আছেই। তাই অন্য কেউ ছোঁ মেরে নেওয়ার আগে আগাম থেকে হাত ধরে ফেলাটাই বুদ্ধিমতীর কাজ।
২. ইঞ্জিনিয়ার— মোটামুটি ২২ থেকে ২৪ মধ্যে চাকরি পাকা। টাকার ফুলঝুরি। একবার ধরে ফেললে আর পায় কে। তরুণ বয়সের মাইনেতে মেজাজও ফুরফুরে। সংসারেরও দায় নেই। সুতরাং, গার্লফ্রেন্ডের দায় নিতে কোনও অসুবিধা নেই। কোথায় যেতে হবে আর কী কিনে দিতে হবে— একবার শুধু বললেই হল। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার প্রেমিক সটানে হাজির করবে সব। আর কোম্পানি বিদেশে পাঠালেই হল— ঘরে তখন ভরে যাবে দামি সব বিদেশি সুগন্ধী থেকে গ্যাজেটস-গয়নায়।
৩. ডাক্তার— এঁদের কদর অন্যদের থেকে অনেক বেশি। ডাক্তারির কারখানা থেকে বের হতেই যা বিলম্ব। একবার ডাক্তার হয়ে বেরিয়ে এলে রক্ষে নেই। পাড়ার ক্লিনিক থেকে হাসপাতাল— সবত্রই পসার। অনর্থের কিছু নেই, শুধুই অর্থের ছড়াছড়ি। সামাজিক সম্মান প্রচণ্ড রকমের।
২৬-এর মধ্যে পাকাপাকি উপার্জনের রাস্তা খোলা। ডাক্তারি পাশের চাপে মধ্যে বান্ধবীর প্রেমাতুর চোখ যেন স্বস্তির হাওয়া। আর প্রেমিক যদি ডাক্তার হয় তা হলে কোথাও চাপ নেই, লাইফটা তখন যেন ফুরফুরে, আর মনে মনে বলা— দেখবি আর জ্বলবি লুচির মতো ফুলবি।
৪. আইআইটি গ্র্যাজুয়েট— দেশের চাকরির বাজার শুধু নয়, আন্তর্জাতিক চাকরিতেও নিয়োগ নিশ্চিত। বিশ্বের প্রথম সারির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুযোগের সম্ভাবনা। সুতরাং, এমন একজনের সঙ্গে গাঁটছড়া স্বপ্নের উড়ান ছাড়া আর কীই বা হতে পারে। আইআইটি থেকে পাশ করে চাকরি না নিয়েও সে যদি এগিয়ে চলে উচ্চশিক্ষার দিকে, তাতেও বিশাল অঙ্কের স্কলারশিপ বাঁধা। সুতরাং, নিশ্চিত ভবিষ্যৎ-এর সঙ্গে অর্থেরও অভাব নেই।
৫. এমবিএ— ভরসা করাটা একটু রিস্কি। কিন্তু, মহিলাদের কাছে এদের কদর কম নয়। এমবিএ-র সুযোগ আসে স্নাতক-এর পরে। তাই একটু দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সুযোগ পেয়ে পড়ে-পাস করে বের হতে হতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। কিন্তু, একবার চাকরি পেলে আর দেখতে হবে না। আর এমবিএ বলে সমাজেও কদরটা কম নয়।
৬. বিমান পাইলট— এ তো আকাশটাকেই ধরে ফেলার মতো। অনেক খাটতে হয় এমন একজনের সন্ধান পেতে। নিজেকে ঘষে-মেজে অনেকটা টানতে হয়। কিন্তু, জালে আটকে ফেললে দেখতে হবে না।
৭. এয়ারফোর্স অফিসার— স্মার্ট-গ্ল্যাম-রেসপেক্ট-মাচো। নারীকুলে এঁদের এমনই কদর। সানগ্লাস চোখে কোনও এয়ারফোর্স অফিসার যাচ্ছেন, আর কোনও নারীর মধ্যে লাবু-ডুবু হয় না— এমনটা আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি।
৮. আর্মি অফসার— এয়ারফোর্স অফিসারদের মতোই এদের কদর।
৯. ফোটোগ্রাফার— নারীদের মনে এখনও বাসা বেঁধেছে এমন সৃষ্টিশীল পেশার লোকও।
১০. লেখক— কবি ও সাহিত্যিকরাও মহিলাদের পছন্দের তালিকায়। কলেজ থেকেই এই সব সৃষ্টিশীল মানুষরের প্রতিভার বিচ্ছুরণ শুরু হতে থাকে। আঁচ করে একটু আগে সম্পর্কের লাইনটা ক্লিয়ার রাখলে ক্ষতি নেই। অর্থের সেরকম দাপাদাপি না থাকলেও সম্মানের যে বিস্তার থাকবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন