কোমল পানীয়ের পরিবর্তে পান করুন নারিকেল পানি!
আমরা জানি, নারিকেল পানিতে ভিটামিন-মিনারেল তো রয়েছেই, পাশাপাশি এটি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটের কাজ করে। ফলে জরুরী অবস্থায় শরীরে পানি তথা ফ্লুইডের ঘাটতি মেটায়।
এতে অনেক কম ক্যালরি রয়েছে এবং যা সম্পূর্ণ চর্বিমুক্ত। নারিকেলের পানি ঠাণ্ডা। ফলে শরীর শীতল রাখে, পিপাসা মেটায়, বীর্যবর্ধক এবং মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।
নারিকেল পানির স্বাস্থ্যগত গুণ ও স্বাদের জন্য তা সারাবিশ্বের মানুষের কাছে পছন্দনীয়। প্রতিদিন নারিকেল পানি পান করলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা মিলে। জানব সেগুলো:
১. অনেকের ধারণা নারিকেল পানি পান করলে সর্দি লাগতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে নারিকেল পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ, সর্দি ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২. নারিকেল পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মত খনিজ উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
৩. নারিকেল পানি থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোন বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরের কোষগুলো শক্তি পায়। মাত্র দু’সপ্তাহে শরীরের শক্তির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।
৪. শরীরের ভিতর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। ফলে কিডনী, মূত্রনালী, লিভার সুস্থ্য থাকে।
৫. নারিকেল পানি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। মাত্র দু’সপ্তাহ নারিকেল পানি পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা ও এসিডিটির মত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
৬. স্বল্প চর্বি ও ক্যালরিযুক্ত নারিকেল পানি ক্ষুধা এবং পিপাসা মেটায় কিন্তু ওজন বাড়ায় না।
৭. নারিকেল পানি শরীরকে আর্দ্র করে। এতে পানি স্বল্পতাজনিত মাথা ব্যথা দূর হয়।
৮. এই পানি পান করলে ত্বকের কোষগুলোও আর্দ্র হয়। মাত্র দু’সপ্তাহ পান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
৯. নারিকেল পানিতে থাকা ইলেক্ট্রোলাইট উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
১০. এতে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা সূর্যতাপ ও দূষণজনিত ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেয়।
১১. স্বাভাবিকভাবেই নারিকেল পানিতে এসিড ফসফেট, ক্যাটালেজ, ডিহাইড্রোজিনেজ, ডায়েস্টেজ, পার-অক্সিডেজ এর মত এনজাইম বিদ্যমান। যেগুলো পাচনক্রিয়ায় সহায়তা করে।
১২. কিছু গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, নারিকেল পানিতে সেলেনিয়াম এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সহায়ক।
১৩. মুখের সাদা দাগ, ব্রণ, বলিরেখা, একজিমা ইত্যাদি দূর করতে প্রতিরাতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত নারিকেল পানি লাগাবেন। ত্বক অনেক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হবে।
১৪. নারিকেল পানিতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম কিডনীতে জমা পাথরের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
১৫. এই পানি ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য খুবই উপকারী। ইহা শরীরে থাকা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী।
নারিকেল পানির এত উপকারীতা জানার পরও কী ক্ষতিকর কোমল পানীয়, জুস ইত্যাদি পান করবেন? সুস্থ্য থাকতে আজই কোমল পানীয় পরিহার করে সেই টাকায় নারিকেল পানি পান করুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন