শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কোলাইটিস থেকে মুক্ত হবেন যেভাবে

বৃহদান্ত্রের প্রদাহকে কোলাইটিস বলে। এর ফলে অনেক বিরক্তিকর লক্ষণ প্রকাশ পায়। কোলাইটিস নিরাময়ের জন্য ঔষধও প্রয়োজন হতে পারে। কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার প্রদাহ কমতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরণের কোলাইটিস, এদের লক্ষণ এবং ঘরোয়া প্রতিকারের বিষয়েই জানবো এই ফিচারে।

মূলত দুই ধরণের কোলাইটিস আছে, আর তা হল- তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী। তীব্র কোলাইটিস হয় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে এবং দীর্ঘস্থায়ী কোলাইটিস হয় স্ট্রেস, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম এবং অটোইমিউন ডিজিজ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে।

কোলাইটিসের লক্ষণগুলো হচ্ছে – পেটে তীব্র ব্যথা হওয়া, যা বার বার ফিরে আসে। অন্ত্রে খিল ধরা বা খিঁচুনি হওয়া, ডায়রিয়া, পেটফাঁপা, মলের সাথে শ্লেষ্মা বা রক্ত যাওয়া, জ্বর, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।

যদি আপনার এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন আপনার কী ধরণের ঔষধ প্রয়োজন। এছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার আছে কোলাইটিসের সমস্যাটি থেকে উত্তরণের জন্য।

– কঠিন খাবার এড়িয়ে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো উপায় বিশেষ করে কোলাইটিসের কারণে ডায়রিয়া হলে। ৩-৪ দিন শুধু তরল খাবার খান, আয়ন ও খনিজ সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করুন। ডায়রিয়ার প্রতিকার হিসেবে রাইস ওয়াটার পান করুন। এজন্য ১ কাপ চালে ৬ কাপ পানি দিয়ে চুলায় তাপ দিন। চালগুলো নরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পানিটুকু ছেঁকে নিয়ে গরম অথবা ঠান্ডা পান করুন।

– ক্যামোমাইল প্রদাহ রোধী প্রভাব উৎপন্ন করতে পারে, তাই কোলাইটিস প্রতিকারের সঠিক উপায় হতে পারে এটি। একটি বড় পানির পাত্রে কয়েকটি ক্যামোমাইলের ডাল দিয়ে ফুটান। তারপর ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্লাসে নিয়ে পান করুন। চিনির পরিবর্তে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। ক্যমোমাইল টি পান করতে পারেন।

– বাঁধাকপির পাতা পানিতে দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে পান করুন।

– আপনার লক্ষণগুলো যখন অদৃশ্য হওয়া শুরু করবে তখন অল্প অল্প করে শক্ত খাবার খাওয়া শুরু করতে পারেন। ভাত, সিদ্ধ আটা, চর্বিহীন মাংস, দই এবং কম ফ্যাটের পনির খেতে পারেন। অল্প পরিমাণে শুরু করুন, দেখুন আপনার অন্ত্র কী রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়। এছাড়াও সিদ্ধ আপেল ও রান্না করা গাজর দিয়েও শুরু করতে পারেন। গাজর কোলাইটিসের একটি ভালো প্রতিকার কারণ অন্ত্রে এটির ক্ষারীয় প্রভাব আছে।

অন্ত্রে যখন প্রদাহ দেখা দেয় তখন এটি সঠিকভাবে তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনা। এ কারণেই নরম খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, এটি প্রদাহের প্রকোপ বৃদ্ধি করেনা। কোলাইটিসের লক্ষণ দেখা দিলে পরিশোধিত চিনিযুক্ত খাবার যেমন- কেক, চকলেট, মিষ্টি ইত্যাদি এবং সাদা পাউরুটি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল, কফি এবং কারবোনেটেড ড্রিংক এড়িয়ে চলতে হবে অবশ্যই। স্ট্রেস, নার্ভ বা ইরিটেবল বাওয়েল এর কারণে কোলাইটিস হলে রিলাক্সেশন এক্সারসাইজ করার পরামর্শ দেয়া হয়। ইয়োগা বা মেডিটেশন কোলাইটিসের লক্ষণের উন্নতি ঘটাতে পারে। তারপরও যদি কোলাইটিসের উপসর্গ থেকে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • কোন খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বিশ্বের শক্তিশালী এমআরআই মেশিনে মস্তিষ্কের প্রথম চিত্র প্রকাশ
  • H5N1 ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কোভিডের চাইতে 100 গুণ বেশি বিপজ্জনক
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?