ক্যানসার ছাড়া আরও এক জটিল রোগের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন যুবরাজ, জানলে স্যালুট ঠুকবেন
ভারতীয় ক্রিকেটের এক অসামান্য প্রতিভা বলে মানা হতো একসময়ে। কিন্তু, প্রতিভা অনুযায়ী কোনওদিনই ধারাবাহিক হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স। কিন্তু, তবু যুবরাজ লড়ছেন।
তাঁর মতো প্রতিভাবান বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ভারতীয় ক্রিকেটে কোনওদিনই আসেনি। এককালে এই উক্তি যিনি করেছিলেন, তাঁর নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সিনিয়র জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে গত ১৬ বছরে যুবরাজ একাধিক রেকর্ড ভেঙেছেন এবং গড়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটেও যে জন্টি রোডসরা থাকতে পারেন, সেই অনুভব ক্রিকেট-বিশ্বকে প্রথম দিয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ-ই। কিন্তু, যে দাপটের সঙ্গে বিশ্বক্রিকেটের রাজমুকুট তাঁর মাথায় তোলার কথা ছিল সেটা থেকে আজ শত সহস্র মাইল দূরে চলে গিয়েছেন যুবরাজ।
ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করে আসা যুবরাজ নিজেও সেকথা একটা সময় বুঝতে পেরেছিলেন। কঠিন থেকে কঠিনতর অনুশীলনে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। জাহির খানকে সঙ্গে করে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন ফিটনেস ট্রেনিং করতে। কিন্তু, মাঠে নামলেই যেন ছন্দটা কেটে যাচ্ছিল। ব্যাট আর বলের মধ্যে যেন সুর বাঁধতে পারছিলেন না যুবরাজ। এই ঘটনার যত পুনরাবৃত্তি হচ্ছিল ততই তিনি প্রবল মানসিক চাপে পড়ে যাচ্ছিলেন।
কটকে দুরন্ত অর্ধশতরানের পরে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন যুবরাজ। জানিয়েছেন, কীভাবে তিনি মানসিক চাপের স্বীকার হচ্ছিলেন। মনে হচ্ছিল ক্যানসারের থেকেও কঠিন হয়ে গিয়েছে মাঠে নেমে পারফর্ম করাটা। মানসিক হতাশা তাঁকে যেন ছিবড়ে করে দিচ্ছিল। আতঙ্কে রাতে চোখের পাতা এক করতে পারতেন না। মনখারাপ হয়ে যেত। লাগাতার খারাপ পারফরম্যান্স এবং দল থেকে সমানে বাদ পড়তে থাকায় নিউজ পেপার পড়া, টিভি দেখা সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শুধু পরিবার আর নিজের মধ্যেই সারাক্ষণ গুটিয়ে থাকতেন। আর কোনওমতে মনের জোরে ডুবে থাকতেন কঠোর অনুশীলনে। কারোর কথায় কান দেবেন না বলেও মনে মনে শপথ নিয়েছিলেন। এরই ফল এবার রঞ্জি ট্রফিতে পেয়েছেন যুবরাজ। একের পর এক ম্যাচে রান করেছেন। মাঠে সেই যেন পুরনো যুবরাজ। এবার যে তিনি জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করতে পারবেন, তা নাকি বুঝতে পারছিলেন। তাঁর এই বিশ্বাস এবং কঠোর সাধনা অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেছে, তা ভেবে বৃহস্পতিবার চোখে জল এসে গিয়েছিল যুবরাজের।
ভারতীয় ক্রিকেটের আর এক প্রতিভা যোগরাজ সিংহ তাঁর ছেলে যুবরাজকে একটা সময় বলেছিলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে তুমি সচিন হতে পারবে না সত্যি, কিন্তু যুবরাজ সিংহ তো হতে পারো।’ কথা রেখেছেন যুবরাজ। তিনি যে সহজে হার মানতে রাজি নন, তা ৩৫ বছরে এসে কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ সালে প্রমাণ করে দিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন