ক্রিকেটারদের বিপিএলের বকেয়া পরিশোধ!
অবশেষে বিপিএলের বকেয়া পারিশ্রমিক হাতে পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অফিসে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের হাতে চেক তুলে দিয়ে বকেয়া পারিশ্রমিক দেওয়া উদ্বোধন করেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা। এরপর অলক কাপালী, এনামুল হক জুনিয়র, নাজমুল মিলন, এনামুল হক বিজয়, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, সোহাগ গাজীসহ অধিকাংশ ক্রিকেটার চেক নিয়েছেন বিসিবির হিসাব বিভাগ থেকে।
ক্রিকেটারদের এ বকেয়া পাওনার ব্যাপারে মধ্যস্থতার দায়িত্বে থাকা বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানিয়েছেন, রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার ছাড়া প্রায় ৬৫ জন স্থানীয় ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক বিসিবির হিসাব বিভাগে আছে। সেখান থেকে তারা তা বুঝে নেবেন। রংপুর ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ নিজ হাতে ক্রিকেটারদের বকেয়া পাওনা তুলে দেবেন বলেও জানান তিনি।
এ টাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন বেশিরভাগ ক্রিকেটারই। তাই বকেয়া পেয়ে বেশ খুশি তারা। চেক হাতে পাওয়ার পর খুশি ধরে রাখতে পারেননি অলক কাপালী, ‘এ টাকাটা আমাদের পাওয়ার পেছনে যাদের ভূমিকা আছে, আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আসলে আমি এ টাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম।
তাই এখন বেশ ভালো লাগছে।’ তার মতো নাজমুল মিলন, এনামুল হক জুনিয়র, সাজেদুল ইসলাম, জুপিটার ঘোষরা টাকা পেয়ে বেশ খুশি। তরুণ ওপেনার এনামুল হক বিজয় তো চেক হাতে পেয়ে খুশিতে লাফাতে লাফাতে বিসিবি থেকে বেরিয়ে যান। অসন্তুষ্ট ক্রিকেটারের তালিকাও ছোট নয়। জাতীয় দলের বেশিরভাগ সিনিয়র ক্রিকেটার মলিন মুখে বের হয়েছেন বিসিবি থেকে। সোহাগ গাজী তো অসন্তুষ্টি চেপে রাখতে পারেনি, ‘যে নিয়মে টাকা দেওয়া হয়েছে তাতে আমার মনে হয় সাত লাখ টাকা আমি পাব। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়েছে ৭৭ হাজার টাকা।
‘ পেসার রুবেল হোসেনের দাবি, ভিত্তিমূল্য বিবেচনায় ধরেই তার বকেয়া পারিশ্রমিক ২০ লাখ টাকা হওয়ার কথা; কিন্তু তিনি পেয়েছেন সাত লাখ টাকার চেক। তবে নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানিয়েছেন, সব ক্রিকেটারের সঙ্গে আলোচনা করেই অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
এসবের মাঝেই ক্রিকেটারদের হাতে টাকা তুলে দিতে পারায় স্বস্তি পেয়েছেন নাঈমুর রহমান, ‘আমরা চেষ্টা করেছি ক্রিকেটারদের মাঝে চাপা ক্ষোভ যেন না থাকে। আর ক্রিকেট বোর্ডের ওপরও যেন চাপ না পড়ে। তা ছাড়া টাকার প্রয়োজনীয়তা কোন খেলোয়াড়ের কেমন, সেটাও আমরা বিবেচনায় রেখেছি। কারণ আমাদের অনেক ক্রিকেটার আছেন, যারা অর্থনৈতিকভাবে বেশ স্বাবলম্বী।
অনেকের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এসব কারণে আমাদের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার বেশ ছাড় দিয়েছেন। সবার হাতে টাকা তুলে দিতে পারায় এখন ভালো লাগছে।’ কাজটা যে বেশ কঠিন ছিল সেটাও জানিয়েছেন তিনি, ‘অনেক ক্রিকেটারের বড় অঙ্কের টাকা পাওনা ছিল। সেটা কমিয়ে আমরা অনেককে হয়তো নামমাত্র টাকা দিচ্ছি। এটা করাটা তো বেশ কঠিন ছিল।’
ছাড় দিলেও ক্রিকেটাররা সন্তুষ্ট বলে মনে করছেন নাঈমুর রহমান, ‘আমার তো মনে হয় অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ সব ক্রিকেটারের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেকের চুক্তি এমনিতে বড় শোনা গেলেও কাগজে-কলমে তেমন ছিল না। এর পরও আমি বলব, অসন্তুষ্টি থাকতেই পারে।’ ক্রিকেটারদের মাঝে বকেয়া হিসেবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন