শনিবার, জুলাই ১২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ক্ষত বিক্ষত শরীর, হারালেন চোখ : তবুও সাহায্য মেলেনি

২১ আগষ্ট, ২০০৪। ভয়াল ভয়াবহ সেই দিন। মো. ছাইদুল সরদার (২৮)। ২১ আগস্টে যখন আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবেসেই কেবল তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন সেদিন।

কিন্তু অন্য আরও দশ জনের মতো গ্রেনেডের আঘাতে তিনি হয়েছিলেন ক্ষত-বিক্ষত। হারাতে হয়েছে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি। এরপর চিকিৎসা চালাতে গিয়ে ফুরিয়ে যায় শেষ সম্বলটুকুও। আহত হওয়ার পর তাকে পূনর্বাসনের কথা বলা হয়েছিল দলের পক্ষ থেকে।

কিন্তু তিনি পাননি কোনো সহযোগিতা; এমনকি তার খোঁজও নেয়নি কেউ। ২১ আগস্টের স্মৃতি মনে করে অক্ষেপ করে এসব কথা জানিয়েছেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পৌর এলাকার চড় ঝাইতলা গ্রামের দিনমজুর অহেদ আলী সরদারে ছেলে মো. ছাইদুল সরদার।

গ্রেনেড হামলার শিকার ছাইদুল বলেন, ‘এখনো সেই ভয়াল স্মৃতি মনে পড়লে দু’চোখে ঘুম আসেনা। কারণ, ঘুমালে দু’চোখে ভেসে আসে সেই ২১ আগস্টের ভয়াল চিত্র। তখন আর ঠিক থাকতে পারিনা। ভয়ে শরীরটা শক্ত হয়ে যায়। চিৎকার করে উঠি। আর বলতে থাকি কে আছো, আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও।’

তিনি জানান, তার সংসারে রয়েছে তিন ভাই ও এক বোন। সবাই যার-যার মতে চলছে। ছাইদুল সবার ছোট। ২০ বছর আগে হারিয়েছেন মা খোদেজা বেগমকে। বাবা অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালায়।

তিনি আওয়ামী লীগের টানে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে জনসভায় যোগ দেন। সেখানে সেই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে হারান বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি।

ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ। এখনো তার শরীরজুরে রয়েছে শুধু বোমার আঘার চিহ্ন। কিছুদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করালে শেষ হয়ে যায় তার শেষ সম্বলটুকুও। এরপর তিনি অর্থের অভাবে আর চিকিৎসা করাতে পারেনি। এখন বিনা চিকিৎসায় কাটছে তার দিন।

আহতের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেও কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাননি বলেও জানান।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাকে পূনর্বাসন করার কথা ছিল, কিন্তু পাইনি। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারিনি। কেউ কোনো সাহায্যও করেনি।’

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকী বলেন, ‘সরকারি তহবিল থেকে তাকে সাহায্য করা হয়েছে। সামনে আরও করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শ’। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি তার স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি হারান।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা

দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?

এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন

  • শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
  • কলম্বোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায় ঢাকা
  • রিজভী: দলের কেউ অপরাধ করলে কঠোর ব্যবস্থা
  • শফিকুর রহমান: পরিপূর্ণ সংস্কার ও নির্বাচন আদায় করে ছাড়বো
  • যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল
  • টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড
  • ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর
  • ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন হাবিবুল আউয়াল
  • দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করতে আইনি নোটিশ
  • দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
  • খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে
  • জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা