শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ক্ষত বিক্ষত শরীর, হারালেন চোখ : তবুও সাহায্য মেলেনি

২১ আগষ্ট, ২০০৪। ভয়াল ভয়াবহ সেই দিন। মো. ছাইদুল সরদার (২৮)। ২১ আগস্টে যখন আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবেসেই কেবল তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন সেদিন।

কিন্তু অন্য আরও দশ জনের মতো গ্রেনেডের আঘাতে তিনি হয়েছিলেন ক্ষত-বিক্ষত। হারাতে হয়েছে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি। এরপর চিকিৎসা চালাতে গিয়ে ফুরিয়ে যায় শেষ সম্বলটুকুও। আহত হওয়ার পর তাকে পূনর্বাসনের কথা বলা হয়েছিল দলের পক্ষ থেকে।

কিন্তু তিনি পাননি কোনো সহযোগিতা; এমনকি তার খোঁজও নেয়নি কেউ। ২১ আগস্টের স্মৃতি মনে করে অক্ষেপ করে এসব কথা জানিয়েছেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পৌর এলাকার চড় ঝাইতলা গ্রামের দিনমজুর অহেদ আলী সরদারে ছেলে মো. ছাইদুল সরদার।

গ্রেনেড হামলার শিকার ছাইদুল বলেন, ‘এখনো সেই ভয়াল স্মৃতি মনে পড়লে দু’চোখে ঘুম আসেনা। কারণ, ঘুমালে দু’চোখে ভেসে আসে সেই ২১ আগস্টের ভয়াল চিত্র। তখন আর ঠিক থাকতে পারিনা। ভয়ে শরীরটা শক্ত হয়ে যায়। চিৎকার করে উঠি। আর বলতে থাকি কে আছো, আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও।’

তিনি জানান, তার সংসারে রয়েছে তিন ভাই ও এক বোন। সবাই যার-যার মতে চলছে। ছাইদুল সবার ছোট। ২০ বছর আগে হারিয়েছেন মা খোদেজা বেগমকে। বাবা অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালায়।

তিনি আওয়ামী লীগের টানে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে জনসভায় যোগ দেন। সেখানে সেই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে হারান বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি।

ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ। এখনো তার শরীরজুরে রয়েছে শুধু বোমার আঘার চিহ্ন। কিছুদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করালে শেষ হয়ে যায় তার শেষ সম্বলটুকুও। এরপর তিনি অর্থের অভাবে আর চিকিৎসা করাতে পারেনি। এখন বিনা চিকিৎসায় কাটছে তার দিন।

আহতের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেও কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাননি বলেও জানান।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাকে পূনর্বাসন করার কথা ছিল, কিন্তু পাইনি। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারিনি। কেউ কোনো সাহায্যও করেনি।’

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকী বলেন, ‘সরকারি তহবিল থেকে তাকে সাহায্য করা হয়েছে। সামনে আরও করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শ’। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি তার স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি হারান।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন

সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি

মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন

রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ

রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ড. ইউনূস: খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত
  • দেশের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন
  • ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে শাটল বাস সার্ভিস
  • পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩৮
  • সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
  • ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ
  • আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও
  • জাবি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হলো ব্যাটারিচালিত রিকশা ও মোটরসাইকেল
  • অবসরের চার বছর পর আইজিপি হলেন বাহারুল আলম
  • ধর্ম উপদেষ্টা: ইসলামি বইমেলা হেরার জ্যোতির পথ দেখায়
  • ব্যাংকিং ব্যবস্থার অপব্যবহারে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর ক্ষতি ১,৬৬৪ কোটি টাকা
  • আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি, মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা