আওয়ামী লীগ অপকৌশলের মাধ্যমে রাজনীতি করছে এবং অপকৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকলেও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দলটি—অভিযোগ বিএনপির নেতাদের।

তৃণমূল নেতাকর্মী এবং দলের কাউন্সিলররা ব্যস্ত প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে, আর ১৯ মার্চে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। জাতীয় কাউন্সিলের আগেই তৃণমূল, জেলা ও মহানগরের কাউন্সিল শেষ করার লক্ষ্য থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১৩টি জেলার কাউন্সিল করতে পেরেছে দলটি। দল পুনর্গঠনের এই মন্থর গতির কারণ পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং ক্ষমতাসীনদের কূটকৌশল। এমনটাই বলছেন দলের নেতারা।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইউনিয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন এমন কোনো তাড়াহুড়ো ছিল না, এটা তো এক মাস পরেও দিতে পারত। সরকারের সিদ্ধান্ত তো বিভিন্ন অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার যে চেষ্টা, সে চেষ্টা সরকারের পক্ষে অব্যাহত আছে। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

আমীর খসরু আরো বলেন, ‘কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও অপকৌশলের মাধ্যমে বিএনপির মতো একটা শক্তিশালী দল, যার শেকড় অনেক গভীরে, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে, সে দলটিকে ধ্বংস করার যত পাঁয়তারা করুক, সেটা সম্ভব নয়। যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন বিএনপি জনগণের ভোট নিয়ে আবার জনগণের সেবা করবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই।’

জনগণের ভোটের অধিকার আদায় করে জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেবে বিএনপি। নির্বাচনের নামে একের পর এক প্রহসন চলছে অভিযোগ করে দলটির নেতারা বলেন, জেনেশুনেও আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এসব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা।

শেষ পর্যন্ত সরকার সুষ্ঠুভাবে বিএনপিকে কাউন্সিল করতে দেবে কি না, তা নিয়ে যেমন শঙ্কা আছে বিএনপির, শঙ্কা আছে কতটুকু সুষ্ঠু হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাদের ভাষায়, সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকের পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কারচুপির কারণে নৌকার সঙ্গে লড়াইয়ে ভরাডুবি হয় ধানের শীষের।

বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ওসমান ফারুক বলেন, ‘সাধারণ নির্বাচন আমরা যে কারণে বর্জন করেছিলাম, জানুয়ারিতে, এ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রমাণ হলো যে আমরা সঠিক ছিলাম। এ নির্বাচনের অধীনে কোনো সঠিক নির্বাচন সম্ভব নয়। দিন দিন তারা আরো সুষ্ঠু নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তারাও জানে, সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের কোনো ঠাঁই থাকবে না।’

বিএনপির নেতাদের মতে, দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ই এখন বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।