কড়া নাড়ছে শীত, বাজারে উঠছে গরম কাপড়
ষড়ঋতুর পরিক্রমায় বিদায় নিচ্ছে শরতের শোভাময়ী আশ্বিন। আর দুদিন পরেই শুরু হচ্ছে কার্তিক। অগ্রহায়ণ পার হলেই শীতের বার্তা নিয়ে আসবে পৌষ। কিন্তু প্রকৃতি যেন এখনই শীতের পরশ বোলাতে শুরু করেছে। ঋতু পরিবর্তনের ফলে দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত।
পুরোপুরি শীত আসতে দেরি হলেও বাজারে আসতে শুরু করেছে গরম কাপড়। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলো। বেচাকেনা তেমন একটা জমে ওঠেনি। তবে দোকানিরা আশাবাদী, শীত একটু বাড়লে বাড়বে কেনাবেচাও।
ব্যস্ততা বেড়েছে নিউমার্কেট এবং কেরানীগঞ্জের পাইকানি বাজারে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা শীতের পোশাক কিনতে আসতে শুরু করেছেন। ঢাকার পাইকারি পোশাকের বাজারের অন্যতম হিসেবে পরিচিতি কেরানীগঞ্জের তৈরি পোশাকের বাজার। শীত সামনে রেখে এরই মধ্যে খুচরা ব্যবসায়ীরাও ভিড় জমাচ্ছেন এসব মার্কেটে।
জালাল উদ্দিন নামে এখানকার একজন পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ, পারগেন্ডারিয়া, কালীগঞ্জ তেলঘাট, আগানগর, কালীগঞ্জবাজার এলাকায় পাঁচ হাজারেরও বেশি রেডিমেড গার্মেন্টস রয়েছে। এ গার্মেন্টসগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষসহ দেড় লাখ পোশাকশ্রমিক কাজ করেন।
তিনি জানান, কালীগঞ্জের পাঁচ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে তিন হাজার কারখানায় এ বছর শীতের পোশাক তৈরি হচ্ছে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় শুরু হয় শীতের পোশাক বিক্রি। চলে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে এরই মধ্যে রাজধানীর ফুটপাতসহ কিছু কিছু মার্কেটে বিক্রির পরসা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট, রাজধানী মার্কেট, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, ফার্মগেট, নিউমার্কেট এলাকার কিছু দোকানে শীতের কাপড় বিক্রি করতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দোকানগুলোতে প্রতিদিনই উঠছে শীতের কাপড়। পাওয়া যাচ্ছে কম্বল, উলের তৈরি সোয়েটার, ব্লেজার, টুপি, কাপড়ের জুতো, কেটস, জ্যাকেট, ট্রাউজার, গরম কাপড়ের তৈরি প্যান্ট, চাদরসহ নানা আইটেমের গরম কাপড়।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের পাশে কম্বল এবং শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন আবদুল মজিদ নামের একজন। তিনি বলেন, ‘বিক্রি পুরোপুরি এখনো শুরু হয়নি। তবে ক্রেতারা আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘গত বছর খুব শীত পড়েছিল দেশে, এবারো তেমন হলে বিক্রি ভালো হতে পারে।’ তিনি জানান, তার কাছে ১৫০০ থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা দামের কম্বল রয়েছে।’
গতকাল সোমবার বিকেলে কিছু কিছু ক্রেতাকে কম্বল এবং উলের তৈরি সোয়েটারের দরদাম করতে দেখা গেছে।
এদিকে বেচাকেনা এখনো জমে উঠেনি বলে জানান বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রধান গেটের সঙ্গে বসা দোকানি আজমলও। তিনি বলেন, ‘শীত তো এখনো আসেনি, তাই ক্রেতাও কম। এখন কিছু সোয়েটার, ট্রাউজার বিক্রি হচ্ছে। বিকেলের দিকে অফিস ফেরত কিছু মানুষ কিনছেন এসব কাপড়।’ রাইজিংবিডি
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন