কয়েক হাজার বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন

কয়েক হাজার বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন। জেল-জরিমানা ছাড়াই তারা দেশে ফেরার সুযোগ নিচ্ছেন। আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত ওই বিশেষ সুযোগ বহাল থাকছে। এই সময়ের মধ্যেই অবৈধদের ফিরতে হবে। তার ব্যত্যয় ঘটলে পরবর্তীতে প্রত্যেককে ৩ মাসের জেল এবং ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য মিলেছে। সূত্র মতে, দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়া প্রায় ৩ হাজার বাংলাদেশী দেশে ফেরার জন্য তৈরি হয়েছেন। তারা অনেকটা বাধ্য হয়েই শাস্তি এড়াতে দেশে ফিরছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে, ২ শতাধিক বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে কাতার ত্যাগ করেছেন। দোহায় থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্র্যাভেল পারমিট নিয়ে তারা দেশে ফিরেছেন। দূতাবাসের সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কাতারে প্রায় ৩ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১২-১৫ হাজারের বৈধ ডকুমেন্ট নেই। তারা বৈধভাবে দেশটিতে গেলেও সময় এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ হয়ে পড়েন। গত কয়েক সপ্তাহে ১ হাজার ৩শ’ ৩২ জনের ট্র্যাভেল পারমিট (পাস) ইস্যু করা হয়েছে। পাইপ লাইনে রয়েছে আরো প্রায় ৭ শতাধিক আবেদন। সব মিলে এ সংখ্যা ৩০০০ হাজার হবে বলে ধারণা দিয়েছেন দূতাবাস ও ঢাকার কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, কেবল বাংলাদেশিই নয়, নেপালসহ এশিয়ার অনেক দেশ এ সুযোগ নিচ্ছে। কাতার ট্রিবিউনের এক রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রায় ২০ হাজার অবৈধ নেপালি নাগরিক দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশটিতে বিদেশি কর্মীদের মধ্যে নেপালিরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন। অন্যান্য দেশের বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান না দিতে পারলেও ঢাকার কর্মকর্তাদের দাবি সেই তুলনায় দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। তাছাড়া, একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দেশে ফেরার পরিবর্তে সাধারণ ক্ষমার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বৈধ হওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। আগামী ৩০শে নভেম্বর তিন মাসের ওই বিশেষ সুযোগ গ্রহণের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এটি আর বাড়ানো হবে না জানিয়ে ঢাকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দোহাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস চাইছে দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিই যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুযোগটি গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা ছাড়াও বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে দূতাবাস। কমিউনিটি লিডারদেরও এ কাজে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। দূতাবাস প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কাতার সরকার দেশটিতে অবস্থানরত সকল অবৈধ অভিবাসীকে কোনো প্রকার জেল-জরিমানা ছাড়া নিজ নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। সাধারণ ক্ষমার মেয়াদকাল ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে ৩০শে নভেম্বর ২০১৬। যদি কোনো বাংলাদেশি অভিবাসী কোনো কারণে অবৈধ হয়ে থাকেন, তবে তাকে মূল পাসপোর্ট বা দূতাবাসের ইস্যু করা ট্র্যাভেল পারমিট বা আউট পাস এবং বিমান টিকিটসহ প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে কাতারের সালোয়া রোডস্থ সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্ট (সিইআইডি)-এর ডিপোর্টেশন সেন্টারে (সফরজেল) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সাধারণ ক্ষমার মেয়াদকাল শেষে কাতারি কর্তৃপক্ষ কোনো অভিবাসীকে অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাসের জন্য আটক করলে তার ৩ মাসের জেল এবং ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল জরিমানা হবে। এ বিষয়ে কারো কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে সরাসরি দূতাবাসের নির্ধারিত ফোন নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধও করা হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৪ সালে কাতার সরকার এমন সুযোগ দিয়েছিল। সেই সময়ে সাধারণ ক্ষমার আওতায় তিন মাসে প্রায় ৬ হাজার বাংলাদেশি দেশে ফেরার সুযোগ নিয়েছিলেন। তাদের অনেকে বৈধভাবেই ফের দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে দাবি ঢাকার কর্মকর্তাদের।#মানবজমিন
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যে কারনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সম্মেলন স্থগিত
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশক্রমে মাত্র এক সপ্তাহের নোটিশে যুক্তরাজ্য বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন

ইউরোপ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বাড়ছে চাপ !
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিদের ফিরিয়েবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার শ্রমিক নেবে সৌদি আরব
চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পেশার প্রায় ৩ হাজারবিস্তারিত পড়ুন