‘খাই না খাই গাড়ীর কিস্তি তো মাফ নাই’
‘খাই না খাই গাড়ীর সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে হবে।’ গাড়ী না চালালে সপ্তাহান্তে ৩৫০০টাকা কিস্তি দিবো কই থেকে। তারপরে সংসার, ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ এসব কোথায় থেকে আসবে। এসব নিয়ে খুব নিয়ে চিন্তায় আছি ভাই। এফআইডিবি থেকে কিস্তিতে গাড়ী ক্রয় করে সাপ্তাহিক কিস্তি ও সংসারের খরচ বহন করার ব্যাপারে হতাশাভাব প্রকাশ করে পীরেরবাজারের অটোরিকশা চালক মো. সুহেল আহমদ জানান, মহাসড়কেই আমাদের আয়ের প্রধান উৎস। বন্দরবাজার টু বটেশ্বর রোডে গাড়ী চালিয়ে তেমন একটা আয় করা যায় না। সরকারকে গরীব ও অভাবী জনগোষ্টির কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
খাদিমনগর দাসপাড়া এলাকার মানিক মিয়া নামের একজন ড্রাইভার একইভাবে কিস্তিতে গাড়ী কিনে মাস খানেক আগে সবগুলো কিস্তি পরিশোধ করে মালিকানা পেয়েছেন। এখন গাড়ী চালিয়ে যা আয় হবে তা থেকে সংসারের খরচ চালিয়ে কিছু টাকা সঞ্চয় করবেন বলে আশা করেছিলেন। তার সেই আশা মহাসড়কে অটোরিকশা চালানোর নিষেধাজ্ঞার দরুণ বাঁধাগ্রস্থ হয়ে দাঁড়ালো। মানিক মিয়া বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ দেখিয়ে মহাসড়কে তা বন্ধ করাটা ঠিক হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনার কারণসমূহ চিহিৃত করে এর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়াটা উচিত ছিল।
এদিকে মেজরটিলার মাসুক মিয়া নামের একজন অটোরিকশা চালক জানান, গাড়ীর চাকা ঘুরলে টাকা আসে। বন্ধ থাকলে সংসারের চাকা অচল। আমার সংসারে একমাত্র আমিই রোজগার্ ীসিএনজি চালিয়ে মালিক ইনকাম বাদ দিয়ে যা পাই তা দিয়ে সংসারের খরচ চালাই। আজ অবরোধ আমাদের দাবি আদায়ে আমরাই এর ডাক দিয়েছি। সকাল থেকে গাড়ী বন্ধ আছে। সংসারের খরচ চালানোর মতো টাকা পকেটে নেই।
নগরীর শিবগঞ্জ সেনপাড়ার রাফি আহমদ নামের একজন অটোরিকশা মালিক জানান, মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ না করে ছোট যান ও হালকা যান চলাচলের জন্য পৃথক লেন তৈরী করার উদ্যোগ নিলে ভালো হয়। তাছাড়া দুর্ঘটনার জন্য শুধু অটোরিকশাই নয়, দূরপাল্লার যানবাহনও অনেকাংশে দায়ি। তাই অনেক সময় দেখা ফাঁকা সড়কে যাত্রী নিয়ে খাদে পড়েছেন দূরপাল্লার যানের চালকরা।
এয়ারপোর্ট রোডের একজন ড্রাইভার জানান, মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের নিষেধ আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবো না। কারণ সরকারি তহবিল থেকে আমাদের সংসার চালানো হয় না। আমাদের সংসার চালাতে আমাদেরকেই রোজগার করতে হবে। অতএব গরীব-অভাবী সর্বস্থরের মালিক-শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
এব্যাপারে সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ জানান, সিলেটসহ সারাদেশে অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকরা বিশাল একটি জনগোষ্টি। সবশ্রেণি ও পেশার লোকজন এই অটোরিকশার সাথে সম্পৃক্ত। তাদের কেউ কেউ তাদের আয় থেকে অল্প অল্প সঞ্চয় করে আবার কেউ কেউ বিভিন্নভাবে কিস্তির আশ্রয় নিয়ে কিনেছেন। মহাসড়কে যদি এসব অটোরিকশা না চলে তাহলে সবাই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। তাই আমাদের দাবি সরকার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন