খাদিজাকে হত্যার জন্য ২৬০ টাকা দিয়ে চাপাতি কিনেছিলো বদরুল
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলমকে বুধবার আদালতে তোলা হয়।
থানায় পুলিশের কাছে বদরুল স্বীকার করেছেন, প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় খাদিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই আক্রমণ চালান তিনি। ২৬০ টাকা দিয়ে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় চাপাতি কিনে বদরুল।
বদরুল আদালতকে জানান, খাদিজার সাথে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের বাড়িতে লজিং থাকাকালে তার সাথে এ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানজানি হওয়ার পর খাদিজার পরিবার তা মেনে নিতে পারেনি। তাকে (বাদরুল) তাদের (খাদিজা) বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে পারিবারিক চাপে খাদিজা সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। বারবার তাকে সম্পর্ক রাখার জন্য চাপ দিলেও সে পাত্তা দেয়নি। গত সোমবার পরীক্ষার খবর পেয়ে খাদিজার সাথে দেখা করতে এমসি কলেজে যান বদরুল। সেখানে গিয়ে খাদিজার সাথে কথা বলে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু খাদিজা পাত্তা না দিয়ে উল্টো রূঢ় আচরণ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাথে থাকা চাপাতি দিয়ে খাদিজাকে কোপাতে থাকেন বদরুল।
এ দিকে ঘটনার সময় হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
আটককৃত বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে শাবি প্রশাসন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন
সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন