খাদিজার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো, বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তিনি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজাকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসরা জানিয়েছেন, গতকাল খাদিজার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার পর রোগী নিজেই শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছেন। রোগীর শরীরের বাঁ-পাশ এখনো অবশ থাকলেও ডান দিকের অঙ্গ প্রতঙ্গ নাড়াচাড়া করতে পারছেন।
হাসপাতালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘এখানে যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে। এবং সে (খাদিজা) এখন ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সে ভালো হচ্ছে দেশে, দেশের চিকিৎসকরাই তাকে ভালো করে তুলছেন, নার্সরা সেবা করে ভালো করে তুলছেন, তখন আমার মনে হয় এখানে অপেক্ষা করা ভালো।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি, সরকার সব দায়িত্ব নিয়েছে। তার (খাদিজা) চিকিৎসার জন্য একটা পয়সাও খরচ করতে হবে না।’
খাদিজার অবস্থা প্রসঙ্গে স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ড. মির্জা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়া ও আল্লাহর রহমতে খাদিজার অবস্থা এখন অনেক ভালো। মাঝখানে আমরা লাইফ সাপোর্টটা সরানোর জন্য ওনার টেকস্টমি করি। টেকস্টমি মানে হলো গলার মধ্যে ছিদ্র করে শ্বাসনালীতে টিউব দেওয়া। টেকস্টমি করার পর তার অবস্থা আরো বেশি উন্নতি হয়। এবং তার ডান দিকে আস্তে আস্তে নাড়াচড়া করে। বাঁম দিকে তার টোটালি প্যারালাইজড।’
গত ৩ অক্টোবর ডিগ্রি (পাসকোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ক্যাম্পাসের পুকুরের পাশে চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এরই মধ্যে খাদিজার ওপর হামলার দায় স্বীকার করে সিলেটের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বদরুল আলম। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আট বছর ধরে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁর ওপর হামলা চালান বদরুল।
ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৪ অক্টোবর তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খাদিজা।
হামলাকারী বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মূসা জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ১৬৪ ধারায় আদালতে আসামি বদরুলের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। খাদিজা হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত চাপাতিসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন