খাদিজার উন্নতি হয়েছে, কাল আরেকটি অস্ত্রোপচার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির কোপে গুরুতর আহত সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আগামীকাল সোমবার তাঁর ডান হাতে অস্ত্রোপচার করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আজ রোববার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের তত্ত্বাবধানকারী চিকিৎসক জানান, খাদিজার হাতের একাধিক স্থান কেটে গেছে। সোমবার হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জনরা তাঁর ডান হাতে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জ্ঞান না ফিরলেও ডাক দিলে খাদিজা কিঞ্চিৎ সাড়া দিচ্ছেন বলে জানান ওই চিকিৎসক। তিনি আরো জানান, এ কারণে গতকাল শনিবার তাঁকে আইসিইউ থেকে চিকিৎসকদের বিশেষ তত্ত্বাবধানে থাকা এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দুই-তিনদিনের মধ্যে খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা। তবে খাদিজার অবশ বাঁ হাত ও পা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও জানান চিকিৎসক।
গত ৩ অক্টোবর ডিগ্রি (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এরই মধ্যে সিলেটের আদালতে খাদিজার ওপর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বদরুল আলম। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আট বছর ধরে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁর ওপর হামলা চালান বদরুল।
ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খাদিজা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন