খাদিজার ওপর আক্রমণে ছাত্রলীগ নেতা পার পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেট মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগমকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা পার পাবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সোমবার সিলেটের সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাজিদাকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বদরুল ইসলামের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করার ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বদরুলকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এই হামলায় মারাত্মক আহত খাদিজা রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ছুরির আঘাতে তার মাথার খুলি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা বলে কথা না, যে বা যারাই অপরাধ করুক না কেন কেউ পার পাবে না। এর আগেও আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। এখনও ছাড় দেবো না।’
জনাব কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ ধরনের বিষয়ে খুবই সোচ্চার আর আমরাও এটা পছন্দ করছি না।’
অনুষ্ঠানে গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার সময় রেস্টুরেন্টে থাকা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া নিয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আর্টিজান হামলার সময় রেস্টুরেন্টে থাকা তাহমিদের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে। এর একটি ছবিতে দেখা যায় হামলাকারী এক যুবকের সঙ্গে আর্টিজানের ছাদে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন তাহমিদ। এ সময় তার হাতে একটি অস্ত্র ধরা ছিল।
গত ৩ আগস্ট পুলিশ রাজধানী থেকে তাহমিদকে আটকের কথা জানায় পুলিশ। এরপর দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি আর গত রবিবার তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাহমিদের কাছ থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। এ জন্য তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তবে গোয়েন্দারা তাকে যখন তখন ডেকে জিজ্ঞেস করতে পারবেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সীমান্ত হত্যা নিয়েও জানতে চান সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে প্রায়ই বাংলাদেশিদের প্রাণহানির খবর আসে। দুই দেশের মধ্যে এর আগের আলোচনায় ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করলেও কথা রাখেনি। কথা দিয়েও গুলি ব্যবহার না করার অঙ্গীকার রাখেনি বিএসএফ।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেউ চাই না সীমান্তে নিরীহ কোনো মানুষ মারা যাক। আমরা এর একটি সমাধান খুঁজছি।’
সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, এই সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে তার। তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল এখনও যে কোনো পরিস্থিতিতে পাশে থাকবে তারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা চালু রাখতে বাধা কেটে গেল
ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০০৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসাবিস্তারিত পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে মাজারে হামলা, দানবাক্স উধাও
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এরবিস্তারিত পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৯ নির্দেশনা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি কর্মচারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কবিস্তারিত পড়ুন