‘খাদিজার বিচার বিলম্বে পুলিশের যুক্তি ঠিক নয়’

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা আক্তার নার্গিসের চার্জশিট দিতে দেরি হচ্ছে কেন? প্রশ্ন রেখে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, আমাদের হাতে প্রায় সব আলামতই-তো আছে, তবুও কেন বিলম্ব? দ্রুত বিচার শুরু করার আগে চিকিৎসাধীন খাদিজার জবানবন্দিরও কোনো প্রয়োজন নেই বলে মত দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। খাদিজার সঙ্গে কেবল কথা বলার জন্য বিচার বিলম্বিত হওয়া কাম্য নয়। প্রয়োজনে খাদিজা সুস্থ্য হয়ে আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে তিনি সাক্ষ্য দেবেন। তবুও বিচারটা শুরু করা দরকার, বলেন কাজী রিয়াজুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, জাস্টিস ডিলেড জাস্টিস ডিনাইড।
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর নৃশংস হামলার এক মাস হলো আজ বৃহস্পতিবার। এর পর থেকেই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খাদিজা।
কমিশন চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক বলেন, খাদিজার অভিযোগপত্র দিতে বিলম্বের জন্য যে কথা পুলিশ বলছে তা যৌক্তিক নয়। আমরা খাদিজার ব্যপারে থানায় কথা বলে জানতে পারলাম খাদিজার সঙ্গে কথা বলতে না পারার কারনেই নাকি এই মামলার চার্জশিট দেয়া হচ্ছে না। পুলিশ বলছে, খাদিজা মাত্র দুই দিন হয় পরিচিতদের চিনতে পারছেন। তিনি এখন বিরবির করে কথা বলছে যা বোঝা যাচ্ছে না। খাদিজার সঙ্গে কথা বলতে না পারার কারণেই পুলিশের অভিযোগপত্র আটকে আছে।
বিচার শুরু করার জন্য খাদিজার সঙ্গে পুলিশের কথা বলার দরকার নেই-উল্লেখ করে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, খাদিজার স্টেটম্যান্ট নিতে হবে এমন কোন কথা নেই। খাদিজা যদি মরে যেত তাহলে পুলিশ কার স্টেটম্যান নিতো।
প্রয়োজনে খাদিজা সুস্থ্য হলে কোর্টেগিয়ে সাক্ষ্য দেবে। পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি বলেছেন, খাদিজার স্টেটম্যান নিলে মামলা শক্ত হবে, পরে আমি তাদেরকে স্টেটম্যান ছাড়াই অভিযোগপত্র দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি প্রশ্ন করেন, খাদিজার সুস্থ হতে যদি আরো ছয় মাস লাগে তাহলে কি আমরা ঐ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।
তিনি বলেন, আলামত প্রায় সব আমাদের কাছে আছে, ভিডিও ফুটেজও। এর পরও এতো বিলম্বের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর বিকালে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম।
এ সময় সে চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। এতে খাদিজা মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। পরে খাদিজার সহপাঠী ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন