মঙ্গলবার, অক্টোবর ৭, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

খাদিজার সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে বিতর্ক

হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা খাদিজা বেগম নার্গিসের সঙ্গে সেলফি তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন এক সংসদ সদস্য।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অচেতন খাদিজার সঙ্গে সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিনের একটি সেলফি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। সেলফিতে রয়েছেন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ অপু উকিলসহ আরেকজন নারী। এই ছবিটি ফেসবুকে আসার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

সিলেটে বখাটে বদরুল গত সোমবার ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের ওপর। মঙ্গলবার খাদিজাকে আনা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। সেদিন বিকেলে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়।

অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা জানান, খাদিজার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। তাকে লাইফ সাপোর্টে ৭২ ঘণ্টা পর্যাবেক্ষণে রাখা হবে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাবে না।

বুধবার সকাল থেকে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি খাদিজাকে দেখতে হাসপাতালে যান। অচেতন খাদিজাকে দেখতে হাসপাতালে যান সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিন, প্রাক্তন সাংসদ অপু উকিলসহ আরেকজন নারীও। সেখানে তারা আইসিইউতে গাউন পরা অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা অচেতন খাদিজাকে পেছনে রেখে সেলফি তোলেন। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট করেন সেই ছবি।

তাদের এই সেলফি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পক্ষে-বিপক্ষে অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন। অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

একাত্তর টেলিভিশনের (নিউজ ডিরেক্টর) সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যারা মৃতপ্রায় রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার লোভ সামলাতে পারে না, তারা কাবিখার গমের বস্তা দেখলে কী করে?…জনতা বলুন…।’

দৈনিক করতোয়ার প্রতিবেদক নাছিমা মীর লিখেছেন, ‘তারা একধরনের মানসিক রোগী।’

আবু আল সিনহা নামের একজন লিখেছেন, ‘পুরোই বিরক্তিকর। কমনসেন্স এর অভাব। মানবিকতা হারিয়ে অমানবিক হয়ে যাচ্ছি আমরা। সেলফি এক নেশার নাম।’

কুমকুম আক্তার নামের একজন লিখেছেন, ‘এটা মানসিকতার পরিচয় বহন করে। এর বেশি কিছু বলতে বিবেক সায় দেয় না।’

ওই ছবি ফেসবুকে আসার পর সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিন তার ফেসবুকে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি স্ট্যাটাস দেন। যে স্ট্যাটাসে তিনি খাদিজার সঙ্গে সেলফি তোলার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।

সাংসদ তুহিন তার প্রথম স্ট্যাটাসে বলেন, ‘আমরা কালকে খাদিজা নামের যে মেয়েটা মারা গেছে বলে যে তথ্য বের হয়েছে, এটা দেখাতে চেয়েছি মেয়েটা বেঁচে আছে এবং এর জন্য ছবিটা তোলা। বদরুলের ফাঁসি চেয়ে স্ট্যাটাসটা দেওয়া হয়েছে। নারী হিসেবে মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে তার পাশে আছি, এটা বোঝানোর জন্য তার ব্যাপারে স্ট্যাটাস দেওয়া। ভাল মনমানসিকতা নিয়ে তার পাশে একজন নারী হিসেবে পশুর বিচার চেয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নামধারী যে এখন ছাত্রলীগ করে না, আমরা তার পক্ষে না। আমরা নির্যাতিতের পক্ষে। তাই এ ছবির অর্থ কেউ ভিন্নভাবে নিতে পারে। তবে আমার বা আমাদের কাছে এটি ছিল যে, আমরা সকল নির্যাতিত নারীর পক্ষে।’

পরে নিজের সেলফি তোলার সপক্ষে রাতে আরো বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • গাজায় অনাহারে ২ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু
  • যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের ভিসার মেয়াদ
  • সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে ছাই
  • চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
  • রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কথা মাথায় রেখেই দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে
  • বিএনপি সুশাসনে ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে
  • ভাতার ১ম কিস্তি শুরু; গর্ভবতী ভাতার আবেদন শর্ত
  • ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস কার্যকর হচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে