খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে কারণ তারা মনে করেছিল তা নাহলে ইহুদিবাদী শাসন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ থেকে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। ইরান বিজয়ী হয়েছে এবং আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে।
পরে ইংরেজি ভাষার দেওয়া বার্তায় খামেনি বলেন, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে।”
এদিকে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধবিরতির অবসানের দুইদিন পর তার এই মন্তব্য এলো।
স্থানীয় সময় দুপুরে তার পূর্ণাঙ্গ বার্তা সম্প্রচারিত হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ভাষণের খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেছেন, এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছে সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নির্মূল করার দাবির সরাসরি নাকচ করে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এই ইরানি নেতা বলেছেন তার দেশ ঐক্য প্রদর্শন করেছে, তারা এই বার্তা দিয়েছে “আমাদের জনগণের কণ্ঠস্বর এক”।
খামেনি বলেছেন, ট্রাম্প তার দেশকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুখের তুলনায় তা খুব বড় মন্তব্য ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমানের।”
এই ইরানি নেতা এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে বলেন, “যদি কোনো আক্রমণ ঘটে, তাহলে শত্রু এবং হামলাকারীদের অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্ঘটনাক্রমে একটা সত্য প্রকাশ করেছেন যে আমেরিকানরা শুরু থেকেই ইরানের বিরোধিতা করে আসছে।”
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, “যা ঘটেছে তার একটি ‘অস্বাভাবিক ও অতিরঞ্জিত’ বর্ণনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।”
তিনি বলেন, “আমরা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছি এবং এখন তারা এ ঘটনাকে ছোট করার চেষ্টা করছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক ইস্যু নয় বরং ইরানকে আত্মসমর্পণ করানোই উদ্দেশ্য ছিল বলে ভিডিও বার্তায় বলেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি।
তিনি বলেন, “একদিন এটা মানবাধিকার, অন্যদিন নারীদের অধিকার, এরপর এটি পারমাণবিক ইস্যু এবং তারপর ক্ষেপণাস্ত্র। আসলে তারা চায় ইরান আত্মসমর্পণ করুক।”
প্রসঙ্গত, তেহরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ইরানে ৬২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদিকে, সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল
ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর
ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন