খারাপ নজির সৃষ্টি করল সরকার : বিএনপি
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার প্রয়াত জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সমালোচনা করে বিএনপি বলছে, ‘এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা খারাপ নজির সৃষ্টি করল।’
বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, প্রতিহিংসামূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন দলটির নেতারা।
বুধবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। তৎকালীন বিএনপির সরকারের ওই পদক্ষেপ জিয়াকে ওপরে তোলার চেষ্টা হিসেবে দেখে জাতির জনককে অবমাননার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সম্প্রতি জিয়াউর রহমানকে দেওয়া রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
জিয়াউর রহমানের পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায় সিদ্ধান্ত’ অভিহিত করে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এটা খুবই অন্যায় সিদ্ধান্ত। তিনি (জিয়াউর রহমান) জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বাধিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। আওয়ামী লীগ সরকারই মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে এই উপাধি দিয়েছে। সুতরাং এই পদক পাওয়ার যোগ্য তিনি। জিয়া বীরউত্তম হলে এই পদক পাওয়া নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না।’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, প্রতিহিংসামূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত। সরকার একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করল। এ বিষয়ে যে বিতর্কের সূত্রপাত হলো, তা এই পদকধারীদের বিষয়ে আগামীতেও নতুন নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে। এতে জাতি হিসেবে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এভাবে কারো সম্মান কেড়ে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা ঠিক নয়। তিনি (জিয়াউর রহমান) জেড ফোর্সের প্রধান ছিলেন, বীর উত্তম উপাধি পেয়েছেন; এগুলো স্বাধীনতা পদক পাওয়ার জন যথেষ্ট নয় কি? এই সিদ্ধান্ত খারাপ নজির সৃষ্টি করেছে।’
জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে, এ মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, ‘সরকার কলঙ্কিত সিদ্ধান্ত নিল। ইতিহাসে এটি কলঙ্কজনক বিষয় হয়ে থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের যে কোনো দায়িত্ব নেই এবং জনগণ ও ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই; তা এই সিদ্ধান্তে প্রমাণ হলো। এটি একটি ঘৃণ্য ও অবিবেচিত সিদ্ধান্ত। এর নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জিয়ার স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার করে নিলেও এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের মন থেকে তার নাম মুছে ফেলা যাবে না। এর মাধ্যমে সরকার স্বাধীনতার প্রতি অশ্রদ্ধা জানাল।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন