খালেদার কাছে জয়ের অর্থ পাচারের তথ্য আছে
সজীব ওয়াজেদ জয়ের অর্থপাচারের খবর থাকার কারণেই খালেদা জিয়া এ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিন্দা করেছেন তিনি।
রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হলেই যে কাউকে তুই বলা যায়। তবে আমরা দলের সিনিয়রদের কাছ থেকে এসব শিখিনি।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় রিজভী এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক এম এ মান্নান মুক্তি পরিষদের আয়োজনের সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাবুল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মেয়র মান্নানকে নাশকতার মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আবারো তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারণ তিনি তো নির্বাচিত মেয়র। সে যখন তার নিজের চেয়ারে বসবেন তখন দুর্নীতি করা যাবে না। তাই যতদিনে সিটি করপোরেশনের বড় বড় প্রকল্পের বরাদ্দ শেষ না হবে ততদিনে তার মুক্তি হবে না।’ মেয়রের মুক্তির জন্য সবাইকে দোষারোপের রাজনীতি বন্ধ করে পরষ্পরকে সহযোগিতা করে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান নজরুল।
মেয়র মান্নান যদি সন্ত্রাসী হতেন তাহলে লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করতো না বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘তার (জয়) অ্যাকাউন্টে এই পরিমাণ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের কথা এফবিআইয়ের কাছে ছিল। তাদের ঘুষ দিয়ে একজন তা নিয়ে অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। যখন শেয়ার বাজার, বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে তখন দেশের একজন নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এতো টাকার লেনদেনের বিষয়টি খোঁজ নেয়ার দায়িত্ব তো সরকারের। আমরা সেই কথাই বলেছি। যদি তদন্তে তার (জয়) নিজের উপার্জিত,আয়কর দেয়া টাকা হয় তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই। তাই এটা তো সরকারের উচিত তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জনগণকে জানানো।’
দেশে কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করা এখন পাপের বলেও দাবি করেন নজরুল।
কারাগার বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রধান বাসভবন এমন দাবি করে রিজভী আহ্বান বলেন, ‘আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বছরে দুইবার, তিনবার করে কারাগারে যেতে হয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। কিন্তু সরকার প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরতে আইন করতে যাচ্ছে। এটা হলে গণতন্ত্র পুরোপুরি নির্বাসিত হবে। তখন রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে গণতন্ত্র শব্দটি বাদ দিয়ে দিতে হবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন