খালেদার সঙ্গে আপস হবে না : তথ্যমন্ত্রী ইনু
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রম করছেন। এর ফলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। কিন্তু খালেদা জিয়া দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছেন। খালেদা তার শাসনামলে দেশকে অন্ধকার রাষ্ট্রে পরিণত করেন। তাই বিএনপি-জামায়াত তথা খালেদার সঙ্গে কোনো আপস নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর গণকপাড়া মোড়ে জেলা ও মহানগর জাসদ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী ইনু বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পানি ও বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে মানুষ কষ্ট পেয়েছেন। এমনকি জীবন দিতে হয়েছে। অর্থনৈতিক দুরবস্থায় ভুগতে হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদার অন্ধকারের রাজনীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে বাংলাভাইসহ তার সহযোগীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াতো। তৎকালীন পুলিশ প্রশাসনের পাহারায় ও বিএনপি-জামায়াতের সহায়তায় সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম চালাতো।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের হাত থেকে মুক্ত করতে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। গণতান্ত্রিক শক্তিকে মজবুত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। সেসময় দেশ তথ্য ও প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন অস্বীকার করেছিলেন। তিনি সন্ত্রাসী, পিস্তল, শর্টগান নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন।
’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের রাজাকার ও ’৭৫-এর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এদেশের মাটিতে তাদের বিচার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এখন যারা বাকি রয়েছেন তাদেরও বিচার হবে। বিএনপি-জামাত তাদের বাঁচাতে পারবে না। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য সন্ত্রাসীমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন। তাতে কোনো লাভ হয়নি। নির্বাচিত সরকারকে সহিংসতা ও গুলি করে বিতাড়িত করার দিন শেষ।
তিনি আরো বলেন, সংবিধানুযায়ী ২০১৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে নির্বাচন হবে না। মানুষের সঙ্গে মানুষের ও গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে গণতান্ত্রিক দলের সংলাপ হয়। কিন্তু খুনিদের সঙ্গে সংলাপ হয় না। সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা বাসে, ট্রাকে পেট্রোল দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, শুধুমাত্র ক্ষমতায় আসার জন্য। কিন্তু সেসময় সরকার ঠা-া মাথায় তাদের সহিংসতা প্রতিহত করেছে।
দেশের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি, বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই প্রদান, স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা ইত্যাদি উন্নয়ন করেছেন।
তিনি রাজশাহীর উন্নতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাসিকের প্রাক্তন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালীন সময়ে রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তারপরেও তাকে মেয়র পদে ভোট দেওয়া হয়নি। তা আমরা মেনে নিয়েছি। সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু খালেদা পাকিস্তানিদের মতো মিথ্যাচার করে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। গণতন্ত্রের পথে থাকতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চোরাগোপ্তা হামলাকারী, মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। দরকার হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
জেলা জাসদের সভাপতি মজিবুল হক বকুর সভাপতিত্বে জনসভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি।
নগর জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল কবির বাবুর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাসদের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক ও নগর সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, নগর জাসদের সভাপতি প্রদীপ মৃধা, জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান শফি, জাতীয় শ্রমিক জোট জেলা সভাপতি মাসুম আহমেদ টিপু প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেবিস্তারিত পড়ুন
সংঘর্ষের ঘটনায় রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা, গ্রেপ্তার ১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেবিস্তারিত পড়ুন
স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ২০
বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গেবিস্তারিত পড়ুন