নাইকো দুর্নীতি মামলা
খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানি ৩১ অক্টোবর
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতির জন্য আবেদন) করা হয়েছে। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ৩১ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই দিন ঠিক করেন। খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিলের বিষয়ে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আদালত দিন ধার্য করে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত বছরের ১৮ জুন নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই সময়ে ব্যারিস্টার রাগীব রউফ শুনানিতে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আদালতে বলেছি, একই ঘটনা থেকে উদ্ভূত একই দিনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও নাইকো দুর্নীতি মামলা হয়েছিল। হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও এ মামলা চলতে পারে না। এ ছাড়া এ মামলায় রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধন করে খালেদা জিয়া ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন—এমন কোনো অভিযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তখন তিনি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে অনুমোদন দিয়েছিলেন, যা দুর্নীতির সংজ্ঞায় পড়ে না। সংবিধানের ৫৫ ও ১৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক আদেশ বা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ নেই। এসব কারণে মামলাটি অবৈধ ও বেআইনি।’
অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, ‘আমি আদালতে শুনানিতে বলেছি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলা আর এ মামলা এক নয়। এ মামলায় অপরাধের যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। অপরাধের তথ্য-উপাত্ত, কার কতটুকু দায়িত্ব, সেটা বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হবে। এটা হাইকোর্টে রিট আবেদনের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না এবং এ ধরনের রিট আবেদন গ্রহণযোগ্যও হবে না।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১০ হাজার কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন