খালেদা জিয়ার শুনানিতে হট্টগোল, আইনজীবীর ক্ষমা প্রার্থনা
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ হয়নি। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় নতুন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আগামি ১২ জানুয়ারি দুই মামলার দিন ধার্য করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশী বাজারে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে দুই মামলার শুনানিতে খালেদা আদালতে পৌঁছান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে।
আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের তারিখ ধার্য ছিল। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল।
শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে দুই মামলায় কার্যক্রম মুলতবি রেখে পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
প্রথমে শুরু হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম। খালেদার আইনজীবীরা হাই কোর্টে তাদের আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন।
এরপর শুরু হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানি। এ মামলার ঘটনার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন পরিচালক নূর মোহাম্মদের সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন জানান খালেদার আইনজীবীরা।
বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানির শুরুতে খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদলতকে বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া বসার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করছি। ’ এ সময় আদালত বলেন, ‘আগে আমাকে বসতে দেন। এত দেরি করলেন কেন?’
জবাবে সানাউল্ল্যাহ মিয়া আদালতকে বলেন, ‘দুই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় রাস্তায় জ্যাম রয়েছে। তাই দেরি হয়েছে। ’ পরে আদালত বলেন, ‘ঠিক আছে বসেন। ’ এর পর খালেদা জিয়া এজলাসের সামনে দেওয়া একটি চেয়ারে বসেন।
এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত আজ দুটি মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর আসামিদের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। আমি আশা করি, আজ চ্যারিট্যাবল এবং অরফানেজ মামলার আসামিদের বক্তব্য শেষ করবেন। ’ এ পর্যায়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘মাননীয় আদালত আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে শুনানির জন্য হাইকোর্টে আমাদের আবেদন বিচারধীন রয়েছে। তাই শুনানির জন্য সময় প্রার্থনা করছি। ’
এ সময় বিচারক বলেন, ‘আমি ১৯৮১ সালে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করি, তার আগে চার বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু আপনারা বিজ্ঞ আইনজীবী আছেন, এখানে একটি বিষয়ে আমাকে পরিষ্কার করেন, ফৌজদারিতে সাক্ষীর শপথ বিষয়ে কী বলা হয়েছে?’ এ সময় আদালত ১৮৭৩ সালের একটি আইন দেখিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চান। আদালত বলেন, ‘আপনারা প্রথিতযশা আইনজীবী আপনারা বলেন, শপথ মানে সৃষ্টি কর্তার নামে নয় কি?’
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘অ্যাক্ট অনুযায়ী সৃষ্টি কর্তার নামে, তবে ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশনা অনুযায়ী এ মামলার সাক্ষীরা তাদের শপথ গ্রহণ করেনি। ’ তিনি বলেন, ‘তাই আমরা উচ্চ আদালতে মামলাটির নিষ্পত্তি পর্যন্ত সময় আবেদন করছি। ’
খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও মাহবুব উদ্দিন খোকন সময় আবেদন মঞ্জুর করার জন্য আবেদন করেন।
এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, ‘এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়াকে আদালত তিনটি প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি প্রায় তিনটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। প্রথম প্রশ্ন ছিল আপনার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে ৩২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে। এগুলো সত্য কি না? তিনি বলেছেন, আমি নির্দোষ। দ্বিতীয়ত, আপনি সাফাই সাক্ষী দেবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, হ্যাঁ দেব। এতেই আত্মপক্ষ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু এরপরও আদালত বলেছেন, আর কিছু বলবেন কি না? জবাবে খালেদা জিয়া বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন এবং মাঝপথে গিয়ে বললেন আমি আত্মপক্ষ সমর্থন নিয়ে সময় চাই। এটি হতে পারে না। আমার বক্তব্য হলো আজই আত্মপক্ষের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। ’
এ বক্তব্যের জবাবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেন, ‘উচ্চ আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে শুনানির সুযোগ নেই। আমরা এক সপ্তাহ সময় চাই। আশা করি, উচ্চ আদালতে এ বিষয় এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। আমরা অন্য মামলার শুনানিও করতে চাই। ’ আদালত বলেন, ‘শুনানি শুধু শুনব না, দেখাতেও চাই। আপনারা বার বার এ মামলা আসবেন আর টিভিতে নিজেদের প্রদর্শন করবেন। আপনারা প্রয়োজন মনে করলে এ মামলার কার্যক্রম লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করব। ’
জবাবে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘তাহলে তো আরো ভালো হয়। আমরা আবেদন করব আপনি যাতে সে ব্যবস্থা করতে পারেন। ’ আদালত বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য কোথাও এমন বিচার হচ্ছে না। ’ জবাবে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশে এখন সরাসরি বিচারের কার্যক্রম লাইভ দেখানো হয়। এ বিচার লাইভ দেখানো উচিত। তাহলে দেশবাসী ও বিশ্ববাসী জানবে মিথ্যা মামলার বিচার কীভাবে হচ্ছে। ’
এ পর্যায়ে আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘মাননীয় আদালত আমরা এ মামলার বিচারের জন্য সময় চাচ্ছি। ’
এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আপনারা সাফাই সাক্ষীর জন্য ২৭১ জনের নাম দিয়েছেন। আসামি কি তাঁর পক্ষের সাফাই সাক্ষীদের সবার নাম বলতে পারেন?’ এ সময় আদালতে কিছুটা হৈচৈ শুরু হয়। পরে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আমরা নাম দিয়েছি। তবে এখান থেকে কিছুটা নাম কমে এলে পরে ঠিক করে দেব। ’
এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ মামলা শুনানি করছি। এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারি নাই। মামলা কার্যক্রম ডিলে করাটা কতটুকু যৌক্তিক?
এ পর্যায়ে আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার আবার সময় আবেদন করলে আাদালত বলেন, আমাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমি প্রভাবিত নই। আমি জানি আমার জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছি। এ মামলার রায় কী হবে জানি না। তবে আমি সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি তিনি আমাকে রক্ষা করবেন। পরে আদালত ১২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করেন।
বেলা ১ টা ৪০ মিনিটের পর মামলার কার্যক্রমে বিরতি চলাকালে আদালত কক্ষে খালেদা জিয়াকে চা-বিস্কুট খেতে দেখা যায়। আর আদালতে উপস্থিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের কলা-রুটি দিয়ে দুপুরের খাবার সারতে দেখা যায়। কমপক্ষে ডজনখানেক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসও একইসাথে ছিলেন।
বিরতির পর দুপুর আড়াইটার সময় আদালত এজলাসে উঠলে আইনজীবীরা হৈচৈ শুরু করেন। এ সময় একজন আইনজীবী ডেইসের ওপর তিনবার জোরে জোরে থাপ্পর মারেন। এতে করে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সিনিয়র আইনজীবীরা সবাইকে শান্ত করেন।
পরে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আপনি দুপুরের খাবার খেয়েছেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে দুপুরে খাওয়ার জন্য, নামাজ পড়ার জন্য, এবং এমনকি ওষুধ খাওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়নি। এগুলো কিসের আলামত। আপনি বিচারক আছেন, ভবিষ্যতে বিচারপতি হবেন। এটা আপনার কাছ থেকে আমরা আশা করিনি। জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম ও মুলতবি করা হোক। আজ ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস। এ দিবসে আদালত দুদকের আইনজীবীর আচরণ দেখে মনে হয় ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে বিচার শেষ হওয়ার আগে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। ’
এ সময় বিচারক বলেন, ‘যে আইনজীবী ডেইসে থাপ্পর মেরেছেন তার নাম জানতে চাই। তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে ওই আইনজীবী আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ’ এ পর্যায়ে আদালত বিকেল ৩টার দিকে জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রমও ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।
দুই মামলায় তারিখ ধার্য হওয়ার পর বেলা তিনটার দিকে খালেদা জিয়াও আদালত ত্যাগ করেন। তার পক্ষে আদালতে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মাহাবুবউদ্দিন খোকন, আব্দুর রেজাক খান, এজে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়াসহ অন্যরা। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
দুই মামলা-
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে চার্জশিটভুক্ত চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলায় চার্জশিট দেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ পরিচালক হারুনুর রশিদ।
চার্র্জশিটে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। এছাড়াও জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১১ সালের ৮ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানার এ মামলা দায়ের করে দুদক।
এ মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি আসামি বিআইডব্লিউটি- এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আদালতে হাজির ছিলেন। আরেক আসামি হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য চার আসামির মধ্যে মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির ছিলেন। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান শুরু থেকেই পলাতক।
এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৩২ জনের মধ্যে ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করে দুদক।
চার্জশিটে বলা হয়, খালেদা জিয়া অন্যান্যদের সহায়তায় এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাত করেছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করে দুদক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন