খালেদা জিয়াসহ ১১ জনকে ২৪ জুলাই হাজিরের নির্দেশ
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনকে আগামী ২৪ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগমের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি ও মামলা সচলে হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এ মামলায় হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করেন। অন্যদিকে এ মামলায় ১১ আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ বাকি নয় আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুলাই খালেদা জিয়াসহ অন্য সব আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালত থেকে মামলার কার্যক্রম স্থগিতাদেশ দাখিলের জন্য ওই দিন নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।
তবে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
১১ আসামির মধ্যে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়া অন্য আসামিরা জামিনে আছেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম মামলাটি করেন।
পরে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ১৬ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি হওয়ায় তাঁরা আসামি তালিকা থেকে বাদ গেছেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সানাউল্লাহ মিয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করায় এ মামলা করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন