খালেদা জিয়া আদালতে যাচ্ছেন না আজ
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিতে আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে যাচ্ছেন না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, অনিবার্য কারণবশত বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বাকি অংশ দেওয়ার জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত এ দিন নির্ধারণ করেন।
ওই দিন শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে বলেন, ‘সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেওয়ার আগে আইন অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করেননি। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের একটি আবেদন হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিষ্পত্তি হলে হয়তো যেসব সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল করে নতুন করে সাক্ষ্য নেওয়া হতে পারে।’
‘মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আজ আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই আদালতের কাছে আবেদন, হাইকোর্টে এ মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত এ মামলার বিচার কার্যক্রম মুলতবি করা হোক।’
খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, যেহেতু হাইকোর্ট ওই মামলার আদেশ দেননি, তাই এ মামলার কার্যক্রম চালাতে কোনো বাধা নেই।
আইনজীবীদের বক্তব্য শেষে আদালত খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদন মঞ্জুর করে এক সপ্তাহ এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে ১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। সেদিন তিনি আংশিক বক্তব্য দেন।
এর আগে ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই সপ্তাহের সময় চান। পরে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু ওই তারিখে তিনি হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করলে আদালত ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন