খালেদা, তারেকের পদে ভোটের তফসিল বিএনপির
বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে দুই শীর্ষ পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে দলটি।
আগামী ১৯ মার্চ কাউন্সিলের দিন ‘চেয়ারপারসন’ ও ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’ পদে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন দলের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
১৯৮৪ সাল থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন পদে রয়েছেন খালেদা জিয়া। ছয় বছর আগে সর্বশেষ কাউন্সিলেও তাকেই নেতৃত্বের আসনে রাখা হয়।
ওই কাউন্সিলেই বিএনপিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ তৈরি করে সেখানে খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে বসানো হয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ব্যর্থতার মধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সম্প্রতি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনের উদ্যোগ নেয় বিএনপি।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তফসিল ঘোষণা করে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, দুই শীর্ষ পদে নির্বাচন করতে চাইলে ২ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে, জমা দেওয়া যাবে ৪ মার্চ পর্যন্ত।
এরপর ৫ মার্চ বাছাই হবে এবং ৬ মার্চ পর্যন্ত মনেনায়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘‘চেয়ারম্যান (চেয়ারপারসন) ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা নিজে কিংবা লিখিতভাবে মনোনীত এজেন্টের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে, জমা দিতে বা প্রত্যাহার করতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও উপস্থিত থাকতে পারবেন।”
বিএনপির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হতে বয়স হতে হবে অন্তত ৩০ বছর। তাকে দলের চাঁদাদাতা সদস্য হতে হবে।
বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। কয়েক ডজন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে গত আট বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক সেখান থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই কাউন্সিলে বক্তৃতা করেছিলেন।
তিনি না ফিরলে এবং এবার দলের নির্বাচিত নেতা হতে চাইলে নিয়ম অনুযায়ী ‘লিখিতভাবে মনোনীত এজেন্টের মাধ্যমে’ তাকে মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সারতে হবে।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির চেয়ারম্যান পদে আসেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার।
এরপর ১৯৮৪ সালে দলের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন হন। ২০০৯ সালের কাউন্সিলেও তাকে চেয়ারপারসন নির্বাচিত করা হয়।
বিএনপির নির্বাচন কমিশনের সদস্য হারুন আল রশিদ, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আমীনুল হক, রির্টারিং অফিসার নজরুল ইসলাম খান, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবদুল মান্নান তফসিল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন