খেজুরে আছে কি কি পুষ্টিগুণ..?
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারে খেজুর খাওয়া হয়। এই খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের কাছে। তিনি বলেন, ‘খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাংগানিজ, কপার, ম্যাগনেশিয়ামসহ শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় সব উপাদান। তাই সারা বছরই খেতে পারেন খেজুর। ফলটি খেতেও ভালো, পুষ্টিগুণেও সেরা। তবে যাঁদের রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি, তাঁদের খেজুর খেতে খানিকটা বিধিনিষেধ আছে।’
রমজানে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় শরীরে ক্লান্তি আসে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ খাদ্যশক্তি থাকায়, খেজুর খেলে দ্রুত দুর্বলতা কেটে যায়।
এ সময় অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকতে হয় বলে শরীরে গ্লুকোজেরও ঘাটতি হয়। খেজুর খেলে দ্রুতই গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ হয়।
খেজুর প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যাঁরা নিয়মিত খেজুর খান, তাঁদের ক্যানসারের ঝুঁকিটাও কম থাকে।
যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। তাঁরাও খেজুর খেতে পারেন নিয়মিত। খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী ফল হিসেবেও পরিচিত।
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ডায়াটরি ফাইবার। এই ফাইবার শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখে।
এর ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করে।
ফুসফুসের প্রদাহ এবং সুরক্ষায় খেজুর বিশেষ কার্যকর।
কখনো বেহিসাবি খাওয়াদাওয়া করে ফেললে, অনেক সময় বদহজম হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন খেজুর।
অন্ত্রের কৃমি প্রতিরোধে খেজুর বিশেষ ভূমিকা রাখে। খেজুর অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে হজমেও সহায়তা করে।
খেজুড়ে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ থাকে। দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাতকানা রোগপ্রতিরোধেও খেজুর কার্যকর।
শিশুদের জন্যও খেজুর ভীষণ উপকারী। খেজুর শিশুর দাঁতের মাড়ি শক্ত করে।
বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদের জন্য খেজুর সমৃদ্ধ এক খাবার। এই খেজুর মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ আরও বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে শিশুর রোগপ্রতিরোধক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
খেজুর খিদের তীব্রতা কমিয়ে দেয়। পাকস্থলীকে কম খাবার নিতে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। মুটিয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।
খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধেও সক্ষম।
খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল। রক্তে লোহিত কণিকা উপাদানটির অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন