খোলা নারীশরীরকে মেয়েরাও উপভোগ করেন, বলছে গবেষণা
গবেষকদের বক্তব্য— খোলা পুং-শরীরের চাইতে খোলা স্ত্রী-শরীর নারীদের কাছে অধিক আকর্ষণীয়। সেক্ষেত্রে দর্শক মহিলাকে সমকামী হতে হবে, এমন কোনও কথা নেই।
পুরুষরা মহিলাদের দেখেন। মহিলারাও মহিলাদের দেখেন। না, সাজ-পোশাক বা গয়নাগাঁটি দেখে ঈর্ষায় সবুজ হয়ে ওঠার জন্য নন, মহিলারা খোলামেলা নারীশরীর দেখতে ভালবাসেন। এবং অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা পুরুষদের চাইতে অনেক বেশিমাত্রায় পছন্দ করেন নগ্ন নারীশরীর। আবার এ-ও সত্যি, মেয়েদের কাছে খোলা পুরুষশরীরের তুলনায় উন্মুক্ত নারীশরীর অনেক সময়েই বেশি আকর্ষণীয় বলে বোধ হয়।
না, কোনও সেমি-পর্ন ফ্যান্টাসির ভূমিকা নয়। এই তথ্য পরিবেশন করছে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগ। আর এই তথ্যের পিছনে কাজ করছে বিস্তারিত ক্ষেত্রসমীক্ষা। গবেষকদের বক্তব্য— খোলা পুং-শরীরের চাইতে খোলা স্ত্রী-শরীর নারীদের কাছে অধিক আকর্ষণীয়। সেক্ষেত্রে দর্শক মহিলাকে সমকামী হতে হবে, এমন কোনও কথা নেই।
কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মনোবিদ-দল ৫৭ জন নারী-পুরুষের উপরে এই ক্ষেত্রসমীক্ষা চালান। তাঁদেরকে তাঁরা যৌন আবেদনময় বেশকিছু ছবি দেখান। ছবিগুলি দেখানো হয় দ্রুত। এক একটি স্লাইড এক সেকেন্ডের এক পঞ্চমাংশ সময় ধরে কম্পিউটার স্ক্রিন-এ থাকে। এর মধ্যে কিছু ছবিতে ডট চিহ্ন দিয়ে রেখেছিলেন সমীক্ষকরা। প্রদর্শন শেষ হলে দর্শকদের প্রশ্ন করা হয়, ডট চিহ্ন সম্বলিত ছবিগুলিকে তাঁরা কতটা মনে রেখেছেন। পুরুষ দর্শকরা যে ছবিগুলির কথা বলেন, সেগুলি অবধারিতভাবেই মেয়েদের ছবি। কিন্তু একই সঙ্গে মহিলা দর্শকরাও একই প্রশ্নের উত্তরে যে ছবিগুলির কথা বলেন, সেগুলিও প্রধানত মেয়েদেরই ছবি।
এই নিরীক্ষা থেকে গবেষকরা সিদ্ধান্তে আসতে চাইছেন, নারীরা নারীশরীরের প্রতিই অধিকতর আসক্ত। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, যে সব মহিলা নিজেদের ‘হেটেরোসেক্সুয়াল’ বলে দাবি করেন, তাঁরাও নারীশরীরে খুঁজে পান ইরোটিক উপাদান। এর গভীরে নিহিত রয়েছে এক প্রাচীন সত্য। অতি প্রাচীন কাল থেকেই নারীদের উভকামী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তুলনায়, পুরুষদের মধ্যে ‘হোমোফোবিয়া’-র প্রাবল্য বেশি। নারীদের এই উভকামিতাকে যেমন খুঁজে পাওয়া যায় কোণার্ক-খাজুরাহোর ভাস্কর্যে, তেমনই আজকের পৃথিবীতেও সুখী-শুভবিবাহিতাদের অনেকেই পুরুষ সংসর্গের পাশাপাশি স্ত্রীসঙ্গও করে চলেছেন সমান তালে।
কার্ডিফ-মনোবিদদের এই গবেষণায় সায় দিয়েছে মার্কিন দেশের গবেষণাও। ইন্ডিয়ানার ইউনিভার্সিটি অফ নোৎরদাম-এর গবেষিকা এলিজাবেথ ম্যাকক্লিন্টক দেখিয়েছেন, যে কোনও পার্টিতে শুভেচ্ছা-চুম্বনে মেয়েরা যতটা স্বচ্ছন্দ, পুরুষরা ততটা নন। এ থেকেও বোঝা যায়, নারীর সমগামিতার প্রবণতা পুরুষের চাইতে ঢের বেশি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন