শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

খোলা মাঠে ধর্ষকের রূপ তুলে ধরলো ‘শিকারী’

বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের হত্যা-ধর্ষণবিরোধী নাট্য অভিযাত্রার প্রথম পথনাটক মান্নান হীরা রচিত ‘শিকারী’ নাটকটি। এ নাটক নির্দেশনা দিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। প্রায় তিনদশক পর পথনাটকের নির্দেশনা দিলেন তিনি। নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হল ৩০ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫ টায় চারুকলার বকুলতলায়।

ধীরে ধীরে বকুলতলায় এসে জমেছিলেন বিভিন্ন দলের নাট্যকর্মীরা। ব্যানার দেখে, পথনাটক শুরুর তোড়জোর দেখে অনেকেই এসে বসেছিলন সামনে সাজানো চেয়ারে। নির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফ তখন নাটক শুরুর পূর্বে কলাকুশীলববৃন্দের সাথে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। নাটক শুরু হল ওড়নায় ঢাকা নারী-শরীর ধীর লয়ে দর্শকের সামনে এসে দাঁড়ালে। তার পরপরই মুখোশে ঢাকা অবয়বের উপস্থিতি। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হল এদের পরিচয়। সংলাপে আর কোরিওগ্রাফীতে। শিকারী খুঁজছে শিকার। ধর্ষকের রূপ এঁকে দিচ্ছিলো চরিত্ররা শিকারীর আদলে। উঠে এল তনু, পূর্ণিমা, কল্পনা চাকমাসহ ধর্ষিত নারীদের প্রতিচ্ছবি নারী চরিত্রদের মধ্যে।

রেফারী চরিত্রটি সেই রক্ষকের প্রতিভূ, যাদের চেষ্টা করতে দেখা যায় আপ্রাণ। কিন্তু আসলেই তাদের চেষ্টা থাকে কি না অপরাধীকে চিহ্নিত করারা কিংবা শিকারীকে থামানোর তা প্রশ্ন হয়ে দেখা দেয়। যখন শিকারীর অবজ্ঞা আর তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে রেফারী দূরে সরে দাঁড়ায় তখন যেন সেই রেফারী চরিত্রটি এক জোকার। পুতুল সদৃশ রেফারী দর্শকদের দেখিয়ে দেয় রাষ্ট্রযন্ত্রের দূর্বলতাকে।

মৌলভী সাহেবেরা বলেন সিনা টান করে যারা চলে তাদের শিকার করা হালাল – এরকম সংলাপ দৃঢ়তার সাথে উচ্চারিত হয় নাটকে। নারীর উপর ধর্ষণের ঘটনার পর যেরকম দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায় সমাজের এক শ্রেণির মানহুষের মধ্যে। তাদেরকে কটাক্ষ করেই সংলাপগুলো উচ্চারিত হয় তাচ্ছিল্যের সাথে।

নৃত্যের ভঙ্গিতে নেচে গেয়ে ওঠা নারী কিংবা হিজাব পরিহিত শান্ত স্বভাবের মেয়ে, কেউই যেন শিকারীর হাত থেকে ছুটে যেতে পারছে না আজ আর। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে নাটকের কাহিনি।

নাটকটিতে সহকারী নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছেন সাঈদ রিংকু এবং সামিউন জাহান দোলা। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন মাসুক সিদ্দিক ও মাহমুদা খান লিটা। কোরিওগ্রাফি করেছেন সামিউন জাহান দোলা। আবহ সংগীত পরিকল্পনা করেছেন সৌজন্য অধিকারী ও ওয়াহিদ আনসার হিল্লোল। সংগীত সহযোগীতায় ছিলেন সংগীতা চৌধুরী, মিতালী দাস, লোকমান হোসেন, গোপী দেবনাথ।

মুখোশ ডিজাইন ও সরবরাহ করেছেন রবিন বসাক ও আনিকা চৌধুরী প্রিয়ন্তি। ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন আবু ইসলাম মুহাম্মদ ইতিহাস, লোকমান হোসেন, আল মামুস খান এমিল, মোঃ আকাশ ও প্রশান্ত মোদক।

পথনাটকটি উদ্বোধনী মঞ্চায়ন শেষে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক আবদুস সালাম, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। এছাড়াও প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে কথা বলেন, নির্দেশক নাসিরউদ্দীন ইউসুফ ও নাট্যকার মান্নান হীরা। সঞ্চালনা করেন পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ গিয়াস।

ড. সাদেকা হালিম বলেন- ‘পথনাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ও অভিনন্দন জানাই। ধর্ষণ নিয়ে এরকম নাটক সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। নারীকে সহায়তা দিতে রাষ্ট্র যন্ত্র কতটা সক্রিয় তা ভেবে দেখার বিষয়। মুক্তিযোদ্ধা নারীদের কথাও যথার্থভাবে ইতিহাসে উঠে আসেনি। নারীকে সাধারণ স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা দিবেন সরকার এটাই কামনা। এ ধরণের নাটক আরোও হোক এটাও প্রয়োজন।’

নাট্যকার মামুনুর রশীদ বললেন, ‘নাসির উদ্দিন ইউসুফ এ ধরণের নাটক আমাদের উপহার দিলেন, এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ। তবে আমার মনে হয়, এ বিষয় নিয়ে আমি প্রথম থেকেই বলেছি তনুর হিজাব পরা ছবিটিই বার বার আসছে, এর পেছনে একটা যুক্তি থাকতে পারে যে হিজাব পরেও রক্ষা পাচ্ছে না মেয়েরা। তবে আমি জেনেছি তার হিজাব ছাড়াও অনেক ছবি আছে। সে ছবিগুলোও সামনে আসা উচিৎ। আরেক টা ব্যাপার, এসব ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অন্য সব রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠন সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াসকে নাটকটি সম্পর্কে জানান- ‘মঞ্চ নাটক দেখতে অনেক সময় মানুষ হলে আসে না। কিন্তু পথনাটক মানুষের কাছে যায়। এ নাটকের ডিউরেশান কম, মাত্র ২৫ মিনিট। এছাড়া সংলাপ, কোরিওগ্রাফী সব মিলিয়ে মানুষকে নাটকের কাছে নিয়ে আসার যথেষ্ট ক্ষমতা এ নাটকের আছে বলেই মনে করি। এই নাটকের মধ্য দিয়ে আমরা পথনাটক পরিষদ সমসাময়িক ঘটনাকে নাটকের মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে নিয়ে আসতে চাইছি। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি সমসাময়িক অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে পথনাটক নিয়ে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ সৃষ্টি করা সম্ভব। সব দল, সকল নাট্যকর্মীদের নিয়ে এটাই আমাদের সামনে এগিয়ে চলার প্রয়াস।’

পহেলা মে, মহান মে দিবসের আয়োজনে এ নাটকের ২য় ও ৩য় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও টি এস সি তে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আহা চিকুনগুনিয়া !

ঈদের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে পা দিয়ে আমিবিস্তারিত পড়ুন

‘দৃষ্টিশক্তি থাকা, কিন্তু জীবনে লক্ষ্য না থাকা অন্ধত্বের চেয়েও খারাপ’

চক্ষু, কর্ন, জিহবা, নাসিকা, ত্বক – মানুষের এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়েরবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষিতা মেয়েটির গল্প

পারিনি সেদিন নিজেকে শোষকদের হাত থেকে রক্ষা করতে, পারিনি সেদিনবিস্তারিত পড়ুন

  • যা হবে কবিতা লিখে…!
  • কাটাপ্পা বাহুবলির পর এইবার হিরো আলম ড্রেস?
  • দর্শক যেভাবে বুঝলেন যে মাশরাফির স্ত্রী ক্রিকেট খেলেন না!
  • ‘‘আজকাল আইসিসির সহযোগিতা ছাড়া মাশরাফি-তামিমদের বিপক্ষে জেতা যায় নাকি’’
  • গরু খোঁজা (একটি গল্প)
  • যেসব খাতে ভ্যাট বসানো অতি জরুরি
  • ভাড়া ১০০ টাকা, ভ্যাট-ট্যাক্স মিলে ২৪০!
  • দুদকের হয়ে কেস লড়তে চান কেডি পাঠক
  • শততম টেস্টে আম্পায়ার কেন ওই রকম করলেন?
  • রিক্সা চালাই বিয়ে করেছিলাম, আমার মতই এক গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম —
  • নারীর দাস জীবন এবং একজন সাদিয়া নাসরিন
  • আজকের এ দিনে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো ঢাকার রাজপথ