গরুর মাংস বহনের অভিযোগে বিহারে মুসলিম ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

ভারতের বিহার প্রদেশে গরুর মাংস রাখার অভিযোগে নাসিম কুরেশি (৫৬) নামে এক মুসলিম ব্যক্তিকে “গণপিটুনিতে” হত্যা করা হয়। গত ৭ মার্চ এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ।
বিহারের রসুলপুর পুলিশ স্টেশনের প্রধান কর্মকর্তা রামচন্দ্র তিউয়ারির বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দা হিন্দু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি বিহারের সিওয়ান জেলার হাসানপুরা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে থাকা তার ভাতিজা ফিরোজ আহমেদ কোরেশি কোনো রকমে পালিয়ে রক্ষা পান। নিহত নাসিম ও তার ভাতিজা ফিরোজ এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে একদল যুবক তাদের পথরোধ করেন। ওই যুবকেরা দাবি করেন, নাসিমের কাছে গরুর মাংস রয়েছে। এই সন্দেহে মারধর শুরু করেন।
পুলিশ আদালতকে বলেছে, প্রায় ২০ জন লোক ঘিরে ধরেছিল নাসিমকে। তারপরই শুরু হয় মারধর। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে গরু অতি পবিত্র। দীর্ঘদিন ধরে একদল কট্টরপন্থী হিন্দু গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়ে আসছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সাল থেকে কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীরা আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। দেশটির কিছু অঞ্চলে গরুর মাংস কেনা এবং বিক্রি করা ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বিহারে এখন ক্ষমতায় আছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরোধী একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল।
কেবল গরুর মাংস বহনের দায়ে “গণপিটুনিতে” মৃত্যুর ঘটনা দেশটিতে নতুন নয়। আগেও বহুবার গরু জবাই কিংবা গরুর মাংস বহন করার মত কারণে এমন নৃশংসতার মুখে পড়েছেন অনেকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন