বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

গর্ভপাত ঘটিয়ে অনাগত সন্তানসহ সুমাইয়াকে হত্যা করল পিতা-মাতা, ধর্ষক মুক্ত

লামায় সুমাইয়া আক্তার(১২) নামের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী খালাত ভাই দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষনের ফলে তার গর্ভে অনাগত সন্তান এসে পড়ে। একটা সময় সুমাইয়া আক্তারের শারীরিক পরিবর্তন হতে দেখে মা চিন্তিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মা’র জিজ্ঞাবাদে সুমাইয়ার খালাত ভাই দ্বার ধর্ষিত হয়েছে বলে জেনে কোন উপায় না দেখে আত্মসম্মানের ভয়ে বাবা-মা সিদ্ধান্তক্রমে সুমাইয়া আক্তারের গর্ভের অনাগত সন্তান নষ্ট করে। গর্ভের অনাগত শিশুটি হত্যা করতে পরিবারের লোকজন পাহাড়ি ঔষুদ ব্যবহার করলে প্রচুর রক্তখননে তার মৃত্যু হয়।

সুমাইয়া লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাষ্টার পাড়া এলাকার আলী আকবর(৫৫) ও লুৎফা বেগমের(৪৮) মেয়ে। সুমাইয়া মাতামুহুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত ধর্ষক তাজুল ইসলাম(২৩) একই এলাকার শামসুল হক এর ছেলে।

সুমাইয়ার মা লুৎফা বেগম(৪৮) বলেন, ধর্ষক তাজুল ইসলাম সম্পর্কে আমার ভাগিনা। পার্শ্ববর্তী হওয়ায় সে প্রায় আমার বাড়িতে আসত। প্রায় ৪মাস আগে আমার ছোট মেয়ে সুমাইয়া বাড়ির উপরে পাহাড়ে গেলে সেখানে জোর করে তাজুল ইসলাম তাকে ধর্ষন করে। লজ্জায় সুমাইয়া বিষয়টি কাউকে বলেনি। ১০/১৫ দিন আগে মেয়ের গর্ভে বাচ্চা আসার বিষয়টি আমরা জানতে পারি। লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না বলে বনাজী ঔষুদ দিয়ে অনাকাঙ্খিত গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করতে গেলে তার প্রচুর রক্তখনন হয়। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর অসুস্থ মেয়েকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করি।

তার অবস্থার আরো অবনতি হলে লামা হাসপাতালের ডাক্তার তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। ২৯ সেপ্টেম্বর চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সমাজের নেতৃবৃন্দরা বিষয়টি পরে সমাধান করে দিবে বলে মেয়েটিকে কবর দিয়ে দেয়। অসুস্থ সুমাইয়ার বাবা আলী আকবর তার মেয়ের ধর্ষনের ও মৃত্যু বিচার দাবি করেন। এদিকে সুমাইয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম ও তার বাবা সামশুল ইসলামকে এলাকা দেখা যাচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা জানায়।

সুমাইয়ার সহপাঠি অনেকে বলে, সে লেখাপড়ায় ভাল ছিল। সুমাইয়া নিয়মিত স্কুলে আসত এবং বড় হয়ে সেনা কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছে ছিল তার।অভিযুক্ত তাজুল ইসলামের বাবা শামসুল হক মুঠোফোনে বলেন, সমাজের সবাই বলছে আমার ছেলে ধর্ষন করেছে, কিন্তু আমি তা স্বীকার করিনা।
মাতামুহুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খালেকুজ্জামান বলেন, সুমাইয়ার মা লুৎফা বেগম আমাকে জানায় তার মেয়ে অসুস্থ হয়েছে। তবে কি রোগ তা আমাকে বলেনি। ২৯ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হলে স্কুলের পাশে কবরস্থানে তাকে কবর দেয়া হয়।

এবিষয়ে রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। দরিদ্র অসহায় মেয়েটি ধর্ষনকারীকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

এবিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। কেউ থানায় অবিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ