গর্ভাবস্থা নিয়ে ছেলেদের যা জানা প্রয়োজন
বলা হয়, প্রতিটি নারীর জীবনে এক অনন্য সময় গর্ভাবস্থা। এই সময়ে শারীরিক এবং মানসিক বিরাট পরিবর্তন আসে। এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে অপেক্ষা করতে হয় সন্তানের আগমনের। তবে গর্ভাবস্থা কিন্তু একা নারীরই সামলানোর বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে স্বামী এবং পরিবারের লোকদের সহযোগিতা দরকার।
প্রথম শিশুই হোক বা দ্বিতীয় শিশু, প্রতিটি গর্ভাবস্থাতেই আলাদা আলাদা অনুভূতি হয়। তবে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে যেহেতু অভিজ্ঞতাটা প্রথম, তাই বিষয়গুলো মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। আর এ ব্যাপারটি নারী-পুরুষ উভয়েরই বোঝাপড়া জরুরি।
গর্ভাবস্থা এমন একটি সময় যখন স্ত্রী হয়তো কখনো কখনো আপনাকে এড়িয়ে যাবে; আবার আপনাকে ছাড়তেও চাইবে না। একটু খটমটে সময়ই বটে পুরুষদের জন্য। তবে এটা কিন্তু সামলানোর দায়িত্ব তাঁদের ওপরই বর্তায়।
জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে গর্ভাবস্থা নিয়ে পুরুষদের যেসব বিষয়গুলো জানা জরুরি সে বিষয়গুলোর কথা।
মনোযোগ চাই
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যখন নারীটি জানিয়ে দেবে সে গর্ভবতী, তখন অনেক কিছু মেনে নেওয়ার বা বিসর্জন দেওয়ার সময় চলে এসেছে। এই সময় স্ত্রী আপনার পূর্ণ মনোযোগ আশা করবে।
প্রথম তিন মাস বেশ কঠিন
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস খুব কঠিন। এই সময় অনেক বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন। বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, মাথা ঘোরা, খাওয়ায় অরুচি— এসব বিষয়গুলো এই সময়টায় বেশি হয়। তাই এই বিষয়গুলো আগে থেকেই পরিবারের লোকদের বিশেষ করে স্বামীর জেনে রাখা জরুরি।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
এই সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেয়েদের মেজাজের পারদ ওঠানামা করতে থাকে। স্ত্রীর এই বিষয়টি অনেক ছেলের কাছেই বিরক্তির লাগতে পারে। তবে এটি কিন্তু মজা করার বিষয় নয়। এই মেয়েটিকে এ সময় বুঝেশুনে সময় দেওয়াটা খুব জরুরি।
চিকিৎসকের কাছে নেওয়া
নিয়মিত চেকআপ বা অ্যান্টিনেটাল কেয়ার প্রয়োজন এই সময়টায়। নিয়মিত চেকআপ করলে অনেক জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই চেকআপ করাতে হবে। চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার সময় স্বামীরও কিন্তু সঙ্গে যাওয়া চাই। কেননা শিশুটি কীভাবে বাড়ছে, তা তো হবু বাবারও জানা দরকার।
শেষের সময়
শেষের সময় অর্থাৎ আট থেকে নয় মাসের যেকোনো সময়ে সন্তান প্রসব হতে পারে। এ বিষয়ে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। পয়সাপাতি জোগাড় করা, চিকিৎসকের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখা—এই কাজগুলো করতে হবে। এই সময় একটু অসতর্ক হলে কিন্তু শিশুমৃত্যু বা মাতৃমৃত্যুর মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই সময়টাতেও সতর্ক থাকুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন