গাঁধীকে সরিয়ে বসে পড়লেন মোদী!

অবাক কাণ্ড! এতদিন গাঁধীজিকেই চরকার সামনে বসে সুতো কাটতে দেখা যাচ্ছে— এমন ছবি দেখতেই অভ্যস্ত সবাই। অন্তত গাঁধীজির স্বপ্নের খাদি গ্রাম শিল্প কমিশনের কর্মীরা তাই দেখে এসেছেন এতদিন। ২০১৬-তে একটা চেষ্টা হয়েছিল।
কিন্তু তা আটকে দেওয়া গিয়েছিল। ২০১৭-তে আর শেষরক্ষা হল না। খাদির নতুন বছরের ক্যালেন্ডার ও টেবিল ডায়েরির ছবিতে মহাত্মা গাঁধী নন, চরকার সামনে বসে সুতো কাটছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই ছবি দেখে ক্ষুব্ধ খাদি গ্রাম শিল্প কমিশনের কর্মীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানান বৃহস্পতিবার। এক কর্মীর বক্তব্য, ‘এই ভাবেই মহাত্মা গাঁধীর ভাবনা, দর্শন ও আদর্শকে ধীরে ধীরে মুছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার।
গত বছরই প্রথম গাঁধীর ছবি সরিয়ে মোদীর ছবি বসানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু কর্মী ইউনিয়নের প্রতিবাদে তা থামানো গিয়েছিল। গাঁধীজি— যিনি খাদির প্রতিষ্ঠাতা— তিনিই স্বদেশী ও স্বনির্ভর আন্দোলনের মুখ। তাঁকেই এই ক্যালেন্ডার থেকে মুছে দেওয়া হল।’
চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাকসেনা জানিয়েছেন, ‘এইটা অস্বাভাবিক কোনও ব্যাপার নয়। খাদি শিল্পই গাঁধীজির আদর্শে চলে। তাঁকে অবহেলা করার কোনও প্রশ্ন নেই। মোদীজিও বহুদিন ধরে খাদির তৈরি কাপড় ব্যবহার করছেন। তিনিই এখন খাদির সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর। তাঁর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’—র স্লোগানের সঙ্গেই খাদির ভাবনা মিলে যায়।’
কিছুদিন আগে আশঙ্কা ছিল, টাকার নোটে গাঁধীজির ছবি সরিয়ে দিয়ে অন্য কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি বসাবে কেন্দ্র সরকার। তা হয়নি বটে, কিন্তু মোদীর চাপে খাদির ট্রেডমার্ক ছবি থেকে এবার সরে যেতেই হল জাতির জনককে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন