গাইবান্ধায় অযত্ন-অবহেলায় বালাসীঘাট নৌযান সরঞ্জমাদি
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা: যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকট ও অলাভজনক বিবেচনায় বিগত ২০০৫ সালের জুলাই মাসে গাইবান্ধার বালাসীঘাট-বাহাদুরাবাদ এই নৌ-রুটটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। এর ফলে ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বালাসী রেলওয়ে ফেরীঘাটে বিভিন্ন নৌযান, যন্ত্রপাতি ও মূল্যবান সরঞ্জাম খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে অযতেœ অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তথাপিও অধিকাংশ নৌযান ও ফেরীঘাটে ১৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি এখনও বহাল তবিয়তে চাকরীতে থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে চলেছেন। ফলে প্রতিমাসে রেলওয়েকে বেতন বাবদ গচ্ছা দিতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা।
জানা গেছে, বালাসী ফেরীঘাটে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মীরজুমলা, ঈশা খাঁ, তিতুমীর, বইরম খাঁ নামের চারটি টাগ (ইঞ্জিন যান), ওয়াগনবাহী বার্জ তিনটি, একটি ফেরি পন্টুন, একটি ভাসমান মেরিন ওয়ার্কসপ, একটি ঝালাই বোট, একটি মেরিন ইন্সপেক্টর অফিস কাম ষ্টোর, একটি শোরগার্ডার, একটি মার্কি বোর্ড।
এসব ভ্যাসেলের মধ্যে মাল ওয়াগন লেডিং বার্জ ও মাল ওয়াগন বহনকারি টাগগুলো বর্ষাকালে ও বর্ষা পরবর্তী দুই থেকে তিন মাস নদীর নাব্যতার ভিত্তিতে সীমিতভাবে চালু রাখা হলেও বাকি সময় ওই যানগুলোও নদীতীরে অযতœ অবহেলায় পড়ে থাকে। ফলে এসব ইঞ্জিন ও অন্যান্য যানবাহনের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ফলে কোটি কোটি টাকার মূল্যের এসব নৌযান অযত্ন-অবহেলার ফলে দিনদিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বালাসী রেলওয়ে ঘাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে রেললাইন, রেলপাত, শ্লিপার, নাট-বল্টুসহ বিভিন্ন লোহালক্কর। এসব যন্ত্রপাতি দিনের পর দিন চুরি হয়ে যাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শয়নকক্ষ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পান্নাবিস্তারিত পড়ুন
গাইবান্ধায় সাড়ে তিন বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টায় যুবক গ্রেপ্তার
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
এল. এন. শাহী, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে যৌতুকের দাবীতেবিস্তারিত পড়ুন