গাজীপুরে দেহব্যবসা: তালিকায় স্কুল-কলেজ ছাত্রী থেকে গৃহবধূ!
গাজীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ দিন ধরে চলছে অবাধে জমজমাট দেহব্যবসা। এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূরা। অতিরিক্ত আয়ের লোভে এমন কি গার্মেন্টস কর্মীরাও এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় ছোট বড় মিলে আটটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন প্রায় চার শতাধিক যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেহব্যবসা করে। রাতের বেলায় অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। এদের অনেকের অভিভাবক, স্বামী কিংবা বাবা-মা তারা কেউ জানেন না মেয়েদের এসব বিপথগামিতা। বিভিন্ন চাকুরি বা পেশার আড়ালে এসব আনন্দ ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে। আবাসিক হোটেলে অনেকেই আবার ভুয়া স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে পাঁচশ টাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে কয়েক ঘন্টা অবস্থন করে চলে যায়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যের স্ত্রী রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অভিজাত পরিবারের স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরাও হোটেলে একান্তে সময় কাটায়। অনেক হোটেলের রুম মাদক সেবন ও জুয়ার জন্যও ভাড়া দেয়া হয়ে থাকে। হোটেলের লোকজন মাদকসেবীদের চাহিদা অনুসারে ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য এনে দেয়।
এসব আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল শাপলা আবাসিক, হোটেল রাজমনি আবাসিক, হোটেল রাজ আবাসিক, হোটেল রয়েল আবাসিক, হোটেল এশিয়া আবাসিক, হোটেল প্যারাডাইস আবাসিক, হোটেল ঈশাখা আবাসিক, হোটেল আবাসিক দক্ষিণ বাংলা, হোটেল বিলাস আবাসিক। প্রতিটি আবাসিক হোটেলে রয়েছে নানা বয়সের যৌন কর্মী। হোটেল মালিকরা ফ্রি স্টাইলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্ভয়ে চালাচ্ছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ।
দেহব্যবসার সাথে জরিত জয়দেবপুর রোড হোটেল শাপলার মালিক দেহব্যবসায়ী রাজনের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি হেসে হেসে বলেন, সময় চ্যানেলের সাংবাদিকের ক্যামরা ভাঙ্গ চুর করছি তারা আমাকে কিছুই করতে পারে নাই। আর সোশ্যাল মিডিয়া ও পত্রিকায় নিউজ করলে আমাদের কিছুই হবে না।
তার কারণ জানতে চাইলে রাজন জানায়, গাজীপুরের প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে রয়েছে মোটা অংকের লেনদেন তাই।
আরো অভিযোগ, হোটেল রয়েলের দেহব্যবসায়ী সাকিল মফস্বল গ্রামের অর্থ সংকট পরিবারের নারীদের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে দেহব্যবসায় জড়িত করেন।
গাজীপুর চৌরাস্তা ময়মনসিংহ ঢাকা রোডে হোটেল এশিয়া ও হোটেল রাজের দেহব্যবসায়ী সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, আম্মে নিজে বুঝেন না মুই পুলিশ ফাঁড়ির সামমে এক কালে ওপেনিং ভাবে এমমেই দেহব্যবসা চালাইছি। মুই টাহা দিয়া এইয়া চালাই মোরে আবার কোন হালা কি কইবে।
আবাসিক হোটেল এশিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। কিছু দেহব্যবসায়ীদের মুখে স্বীকার স্থানীয় প্রসাশন ম্যানেজ করেই তারা চলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর ও ঢাকা থেকে কিছু অসৎ সাংবাদিকরা এসব হোটেল থেকে নিয়মিত মাসহারা অর্থ পায় বলে এসব অপকর্ম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে না। প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় এসব অনৈতিক ব্যবসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, কয়েক মাস পূর্বে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে এসব হোটেলে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সাধুবাদ জানায়। কিন্তু পরে আর কোন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। এতে করে এ কুচক্র মহলটি আরো সাহসী হয়ে উঠেছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মায়েরও
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন
গাজীপুরে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩
গাজীপুরে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দিতে গিয়ে পোশাক শ্রমিক জিয়াউর রহমানবিস্তারিত পড়ুন
মা প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রতিরাতে সৎ শিশুকন্যার উপর নিপীড়নকারী এক লম্পট পিতা গ্রেফতার
মা প্রবাসে থাকার সুবাদে ১১ বছরের শিশু কন্যাকে অব্যহতভাবে রাতেরবিস্তারিত পড়ুন