গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু

গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া ওই যুবককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যুর কথা জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. জেসমিন নাহার।
সার্জন জেসমিন নাহার বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির বুকে-পেটে অসংখ্য গুলির চিহ্ন ছিল। এতেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে আমরা অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে পেয়েছি। এখনো তাঁর স্বজনরা না থাকায় নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ’
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
নিহত ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর বলে জানান মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া। এদিকে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই যুবকের নাম শাহ আলম। তিনি বৈশাখী পরিবহনে কর্মরত ছিলেন।
এসআই বাচ্চু মিয়া আরো বলেন, “তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে স্প্লিন্টারের মত বহু চিহ্ন রয়েছে। ”
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক-মিশুকসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় দুই চালকের সাজার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মঘটে থাকা পরিবহন শ্রমিকরা রাতে গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। রাতভর দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর আজ বুধবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে আমিন বাজার সেতুর দক্ষিণ দিক থেকে মাজার রোডের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরই মধ্যে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আহত ওই যুবককে পুলিশের টেম্পোতে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শী ।
এ প্রসঙ্গে গাবতলীর এক শ্রমিক বলেন, বাস টার্মিনালের বিপরীত দিকে একটি গলির মুখে পুলিশের ছররা গুলি লেগেছিল ওই যুবকের গায়ে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল
ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর
ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন