গুলশানে হামলা হবে তা আগেই জানতো গোয়েন্দারা
গুলশান এলাকায় এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে যে জঙ্গি হামলা হবে তা আগে থেকেই জানতো গোয়েন্দারা। আর সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগেই থেকেই সতর্ক ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (১৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এমনটা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলনে, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে গুলশানে হামলা হতে পারে। আমরা প্রস্তুতও ছিলাম। আমাদের একজন এসআই হামলার ঠিক তিন মিনিটের মাথায় সেখানে উপস্থিতও হয়েছিল। এছাড়া শোলাকিয়া হামলারও আগাম তথ্য ছিল আমাদের কাছে। তাই মাঠের এক কিলোমিটার দূরে চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল।’
গুলশানের আর্টিসান রেস্টুরেন্টে চাইলেই জঙ্গি হামলার আধাঘণ্টার মধ্যে প্রবেশ করা সম্ভব ছিল বলে মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা চাইলে আধাঘণ্টার মধ্যে রেস্টুরেন্টে ঢুকতে পারতাম। কিন্তু জিম্মিদের অবস্থা আমাদের জানা ছিল না। সেসব তথ্য জানতেই জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছিল।’
এসময় তিনি বিপথগামীদের এ পথ পরিহার করে ফিরে আসারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা কঠোর হতে চাই না। বিপথগামীদের সংখ্যাও বেশি নয়। কে কোথায় আছে, তার সবই আমরা জানি। তাই বলছি ফিরে এসো, দোষ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দলীয় সমস্যা নয়, এটি জাতীয় সমস্যা। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা সেনাবাহিনী দিয়ে একে প্রতিহত করা যাবে না। এক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হলে দল-মত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তবে তার আগে দোষারোপের রাজনীতির অপসংস্কৃতি থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ, দোষারোপের রাজনীতি দিয়ে জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ দমন করা যায় না।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের কূটনীতিক পাড়ার অভিজাত এই রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডে প্রাণ যায় ডিবির এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খানের।
পরদিন শনিবার (২ জুলাই) সকালে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করে এবং ৬ জঙ্গির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার ঠিক সাতদিনের মাথায় ৭ জুলাই সকাল সোয়া ৯টার দিকে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ও সন্ত্রাসী আবির নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরো অন্তত ৮ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৬ পুলিশ সদস্যকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েবিস্তারিত পড়ুন
আসিফ নজরুল: কোনো অজুহাতেই জঙ্গিবাদ অ্যালাউ করতে পারি না
কোনোভাবেই কোনো অজুহাতেই, কোনো মোড়কেই জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদকে অ্যালাউ করতেবিস্তারিত পড়ুন