গুলশান-বনানী লেকে নৌ চলাচল বন্ধ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ভেলায় পারাপার
ঢাকা মহানগরের অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীর পাশের লেকে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে কড়াইল বস্তি ও লেকের অপর পারে থাকা মানুষের যাতায়াত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নিয়মিত স্কুলে যেতে পারছে না কড়াইল বস্তির শিশুরা। তবে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে ভেলায় চড়ে পার হচ্ছেন।
গুলশান ও বনানীর ঠিক উল্টো দিকে লেকের অন্য পারে কড়াইল বস্তি। এ বস্তির লোকজন মহাখালী ও গুলশানে নৌকা দিয়েই যাতায়াত করেন। তবে বস্তির অন্য দিক দিয়েও যাতায়াতের পথ রয়েছে। তবে সেটি ঘোরা পথ। সহজে গুলশান ও বনানী আসতে লোকজন নৌকার পথটি ব্যবহার করেন। জানা গেছে, গুলশান-বনানী লেকে রয়েছে নৌকা পারাপারের ১০টি খেয়া ঘাট। আছে তিন শতাধিক নৌকা।
দীর্ঘদিন ধরে গুলশান-বনানী লেকে নৌ-চলাচল বন্ধ আছে। বনানী থানা পুলিশ বলছে, গুলশান-বনানীর কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান-বনানী সোসাইটি, সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
গুলশান-বনানী লেক তিন দিক থেকে ঘিরে আছে কড়াইল বস্তিকে। এখানে বাস করছে ৩০ হাজারের অধিক পরিবার। এই বস্তির প্রধান বাহন নৌকা। এটি বস্তির বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
একাধিক ঘাট ঘুরে দেখা যায়, অনেক মাঝি বসে আছেন। নৌকা পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। এসব মাঝিরা জানান, খরচ চালাতে কষ্ট হয়। নৌকা কবে থেকে চালাতে দেবে জানি না। আমরা পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করছি।
নৌকায় বউবাজার ঘাট থেকে গুলশান-১ নম্বর সড়ক পর্যন্ত পার হতে প্রতিবার খরচ হতো দুই টাকা। কিন্তু খেয়া পারাপার বন্ধের পর কড়াইল বউবাজার থেকে বেলতলা ও টিঅ্যান্ডটি কলোনি পার হয়ে প্রধান সড়কে উঠতে আধা ঘণ্টার বেশি লাগে। রিকশা ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এই ঘাট থেকে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে নৌকা পার হতো। বস্তির দরিদ্র পরিবারের এসব শিক্ষার্থী এখন দীর্ঘ সময় পায়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করছে। অপেক্ষাকৃত ছোটদের স্কুলও তাই কামাই হচ্ছে নিয়মিত। মহাখালী মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির একজন ছাত্র জানান, হেঁটে যেতে অনেক কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে পুরা রাস্তায় কাদা। যাওয়া যায় না। না গেলে তখন স্কুলে জরিমানা করে।
হনুফা বেগম নামে কড়াইল বস্তির একজন বাসিন্দা বলেন, নিকেতনের একটি বাসায় বুয়ার কাজ করি। মাসে পাই চার হাজার টাকা। রিকশায় করে যেতে পারি? কাজ করে হেঁটে বাসায় ফিরতেও কষ্ট হয় বলে জানান তিনি।
তবে লেকে শোলার তৈরি ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই পার হচ্ছে। অনেকটা নিরূপায় হয়েই তারা এভাবে পার হচ্ছে। এই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান জানান, কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তার স্বার্থে খেয়া ঘাট বন্ধ রয়েছে। রাজউক রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে। রাস্তা হয়ে গেলে আর ঘাট থাকবে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা চালু রাখতে বাধা কেটে গেল
ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০০৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসাবিস্তারিত পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে মাজারে হামলা, দানবাক্স উধাও
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এরবিস্তারিত পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৯ নির্দেশনা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি কর্মচারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কবিস্তারিত পড়ুন