গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী ‘রাজীব গান্ধী’ ৮ দিনের রিমান্ডে
জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার ওরফে আদিল ওরফে জাহিদ। গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করেছিল পুলিশ, তাদের একজন ‘রাজীব গান্ধী’ জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েছেন।
উত্তরাঞ্চলের নব্য জেএমবি’র এই শীর্ষ কমান্ডার ২২টি হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার কথা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। ওই হামলার সময় তিনি ঢাকায়ই অবস্থান করছিলেন। এমনকী, কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশি অভিযানের সময় তিনি কল্যাণপুরেরই অন্য একটি স্থানে অবস্থান করছিলেন। পুলিশি অভিযান শেষে তিনি উত্তরাঞ্চলে তার মূল আস্তানায় ফিরে যান।
গতকাল শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজীবকে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর একটি বিশেষায়িত দল তাকে আটক করে। নব্য জেএমবির শীর্ষস্থানীয় এই নেতার কাছ থেকে ওই হামলার ভেতরকার তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন গোয়েন্দারা।
গুলশান হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিকালে জাহাঙ্গীর ওরফে ‘রাজীব গান্ধী’কে ঢাকার আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ডে চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। শুনানি শেষে হাকিম মাহমুদুল হাসান আট দিন রিমান্ডের নির্দেশ দেন। আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য গুলশান হামলাসহ অন্যান্য হামলার ঘটনা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন মনিরুল।
মনিরুল বলেন, জাহাঙ্গীর ২০০৪ সালে পুরনো জেএমবির শূরা সদস্য ডা. নজরুল ইসলামের সহযোগী ছিলেন। ১৭ অগাস্ট সারাদেশে বোমা হামলার সময় বগুড়ার সংগঠনটির দায়িত্বে ছিলেন আবদুল আউয়াল। জাহাঙ্গীর তার পাচক হিসেবে কাজ করতেন। গুলশানে হামলার সময় জাহাঙ্গীর স্ত্রীসহ ঢাকায় ছিলেন। গুলশান হামলার পর পুলিশের মনে ভয় তৈরি করতে হামলা চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় তার একটা ছবি পাওয়ার পর এবং তার নাম প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রংপুরে জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা, টাঙ্গাইলের দর্জি নিখিল হত্যা, পাবনার পুরোহিত নিত্যরঞ্জন পান্ডে হত্যা, রংপুরের মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা, কুষ্টিয়ায় হোমিও চিকিৎসক সানাউর হত্যা, পঞ্চগড়ে পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর হত্যা, দিনাজপুরের হোমিও চিকিৎসক ধীরেন্দ্রনাথ হত্যা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাসহ ২২টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব গান্ধী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন