গুলশান হামলার পর ভারতীয় সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা
গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দেশটির বিমানবন্দরগুলোতেও জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে ভারতের নিরাপত্তা জোরদার করতে সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়াতে বিএসফের ডিজিকে বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতাতেও।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ‘হলি আর্টিসান বেকারি’ নামক অভিজাত রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেখানকার বহু মানুষকে পণবন্দি করে রেখেছিল তারা। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্ধার অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। এছাড়া প্রাণ হারায় আরো ২০ পণবন্দি। বাংলাদেশের এই সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
বাংলাদেশে হামলার পরপরই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে ভারতেও। ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছে, আইএস জঙ্গিরা এ দেশেও নাশকতামূলক হামলার পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা দফতরের কাছে তথ্য রয়েছে। ইতিমধ্যেই এনআইএ ও হায়দরাবাদে পুলিশের যৌথ অভিযানে দশটিরও বেশি আইএস মডিউলের খোঁজ মিলেছে। আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর ধারণা, ভারত-বাংলাদেশের মতো দেশগুলিকে একযোগে টার্গেট করে জঙ্গিরা বড়সড় আঘাত হানার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশে হামলার পর গোটা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মতে রাজ্যেগুলোর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার জের ধরে পশ্চিমবঙ্গেও আরোপ করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। শহরের সব থানার ওসিদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানকার কূটনৈতিক অঞ্চলে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। এছাড়া কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় চলছে পুলিশি তল্লাশি।
বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের কার্যকলাপ নিয়ে এর আগেই আসাম, ত্রিপুরার পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। গুলশানের যে এলাকায় শুক্রবার হামলা হয়েছে সেখানেই বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলি অবস্থিত। বাংলাদেশের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অবশ্য সুস্থ আছেন বলেই জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি প্যারিস, ব্রাসেলস ও ইস্তানবুলের পর ঢাকাতেও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। আর এ কারণেই ঢাকায় জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নয়াদিল্লি। ভারতে যাতে এ ধরনের হামলা না হয় সে বিষয়ে তৎপর হয়ে ওঠেছে মোদি সরকার। এ কারণেই গোটা দেশ জুড়ে নেয়া হয়েছে এই ব্যাপক সতর্কতা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন