গুলশান হামলা দেশের ভাবমূর্তির ওপর একটি কলঙ্ক : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে বাংলাদেশের উজ্জল ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যেই একটি কুচক্রী মহল গুলশানে সন্ত্রাসী হামলাসহ এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে।
আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গনভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গুলশানে হামলার ঘটনা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি করেছে, যদিও সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ বর্তমানে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোরে ১৫-১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত আসেম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যত্র সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ শুধুমাত্র একক কোন রাষ্ট্রের বিষয় নয়। সারা বিশ্ব এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই একটি বৈশ্বিক সমঝোতা রূপলাভ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পেছনে দেশীয় ও বিদেশি গোষ্ঠিগুলোর হাত থাকতে পারে, যারা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা স্বত্ত্বেও আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সাথে যাদের যোগসূত্র আছে এবং যুদ্ধাপরাধ ও জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারার রেকর্ড যাদের রয়েছে তারা ব্যতীত দেশের জনগনের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্র সহিংসতার বিষয়ে একটি জাতীয় ঐক্যমত্য সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সন্ত্রাসীদেরকে নির্মূল করার জন্য সত্যিই সাধারন জনগনের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন, যা ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এবং এই ঐক্য বজায় থাকবে।’
আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম বাংলাদেশের সন্ত্রাসের খবরাখবর ফলাও করে প্রচার করেছে- এমন বক্তব্য বাতিল করে দিয়ে বরং দেশীয় গনমাধ্যমকে দোষারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমগুলো দেশীয় গনমাধ্যমগুলোর মতো ঘটনার সরাসরি সম্প্রচারের ব্যাপারে অতটা কৌতুহলি নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিদেশী গনমাধ্যম) ভয়ঙ্কর দিকটি বাদ দিয়ে একটি ঘটনার প্রচার করে। কিন্তু আমাদের গনমাধ্যম এ বিষয়ে কোন তোয়াক্কা করে না এবং এমনকি তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়টি প্রকাশ করে দেয় ও সেটা সরাসরি সম্প্রচার করে। ’
আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম সবসময়ই দেশীয় গনমাধ্যমগুলোকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে- একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার সময় সিএনএন-সহ আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমগুলো বাংলাদেশী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদ ও ছবি প্রচার করেছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কাকে দোষ দিব ?’।
শেখ হাসিনা বলেন, কারা স্বচ্ছল পরিবারের ছেলেদেরকে উগ্রপন্থার প্রতি মগজ ধোলাই করছে তথা কারা তাদের অর্থায়নকারি, অস্ত্রের যোগানদার এবং প্রশিক্ষক, তা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে তাঁর সরকার অন্য দেশগুলোর সাথে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি, মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা
ঢাকার আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারে একটি বাসায় দিনে দুপুরে ডাকাতিরবিস্তারিত পড়ুন
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েবিস্তারিত পড়ুন