গৃহকর্মী নির্যাতন মামলায় আপোসের চেষ্টায় শাহাদাত দম্পতি
আইনগতভাবে আপোসের সুযোগ না থাকালেও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার কাজী শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যের গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় চলছে আপোসের চেষ্টা।
রবিবার মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজীব উল্লাহ হিরু ট্রাইব্যুনালকে এমনটিই জানিয়েছেন।
তিনি শুনানিতে জানান, ভিকটিমকে পর্যান্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে দুইপক্ষ মিলে আদালতের বাইরে আপোসের চেষ্টা চলছে। সময় দিন।
ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এদিকে আপোসের বিষয়ে ভিকটিমপক্ষে আইনি সহায়তা দেয়া মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার বলেন, আসামিপক্ষ আপোসের কথা বলে সময় নিয়েছে। যদিও আপোসের কোন সুযোগ নেই। তারপরও আউট অব কোর্ট এ ধরণের মামলায় আপোস হয়ে যায়।
এ সম্পর্কে ওই ট্রাইব্যুনালের পিপি আলী আসগর স্বপন বলেন, আসামিপক্ষ আপোসের কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা ট্রাইব্যুনালকে আপোসের সুযোগ নেই বলেছি।
অন্যদিকে মামলার বাদী সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বলেন, ক্রিকেটার শাহাদাতের মা আমার কাছে এসেছিল। সে ক্যান্সারে আক্রান্ত। শাহাদাতের বাচ্চা ছোট। আমি বলেছি মেয়েটি গরিব মানুষ, যদি তাকে মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ দেয়া যায় এবং আদালত যতি তা মেনে নেয় তবে আমার কোন আপত্তি নেই।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিরপুরের ২ নম্বর সেকশনের এইচ ব্লকের ৫ নম্বর রোডে শাহাদাতের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো হ্যাপি। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবীর সাংবাদিক কলোনির ৩ নম্বর রোডের মাথায় হ্যাপিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মিরাজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীবের বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্য শাহাদাতকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে শিশুটিকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি (১১) আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দেয়।
গত ২৯ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪(২) খ ধারা অনুযায়ী বিচারে শাহাদাত ও নিত্যের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৪ এবং সর্বনি¤œ সাত বছরের কারাদ- হতে পারে।
মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর শাহাদাতের স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। এরপর গত ৫ অক্টোবর শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তারও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর মহানগর দায়রা জজ নিত্যের এবং ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট শাহাদাতের জামিন মঞ্জুর করলে তারা কারামুক্ত হন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন