গৃহবধূ সীমার লাশের দুই টুকরা উদ্ধার!
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় সীমা নামে এক গৃহবধূর মরদেহের দুই টুকরা নদী থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের কলাপোকা গ্রামের বিশখালি নদীতে ভাসমান অবস্থায় আঙুলসহ হাতের কিছু অংশ এবং বুকের একটি টুকরো উদ্ধার হয়।
সীমার স্বামী কদিন আগে হত্যা করে লাশ গোপন করতে নদীতে ফেলে দিয়েছিল বলে নিহতের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করে জানান।
নিহতের বড় ভাই মাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৩০ মার্চ রাতে রাজাপুর উপজেলার সাউথপুর গ্রামে সীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী মিজান খন্দকারকে গ্রেফতার পুলিশ। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে তাকে ঝালকাঠি আদালতে তোলা হয়। বর্তমানে সে পুলিশি রিমান্ডে আছে।
এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সীমার ভাইসহ পরিবারের লোকজন নদী তীরে এসে লাশের টুকরো দেখেই তা সীমার বলে সনাক্ত করেছেন। তারা জানিয়েছেন নদী থেকে উদ্ধার হওয়া এই লাশের দুই টুকরা সীমার।
পিরোজপুর জেলার খামকাটা গ্রামের প্রয়াত আমজেদ হোসেনের মেয়ে সীমা রাজাপুর বাঁশতলা গ্রামের কাশেম খন্দকারের ছেলে মিজান খন্দকারের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। স্বামী মিজান এতদিন সৌদি প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দেশে এসে সীমাকে বাবার বাড়ি পিরোজপুর থেকে ঝালকাঠির রাজাপুরে নিয়ে আসে। এরপর গত ৩০ মার্চ রাতে সীমাকে রাজাপুর উপজেলার সাউথপুর গ্রামে এনে হত্যা করার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব জানান, লাশের টুকরা দুটি নারীর, তা নিশ্চিত। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা সীমার লাশের অংশ। তবে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তারাবির নামাজে দুই মুসল্লির হাতাহাতি, ঘুষিতে একজনের মৃত্যু
পটুয়াখালীর বাউফলে তারাবির নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে হাতাহাতির একপর্যায়ে একজনেরবিস্তারিত পড়ুন
ঝালকাঠিতে গৃহবধূকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ..
ঝালকাঠিতে এক গৃহবধূকে ধর্ষনের আভিযোগে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করাবিস্তারিত পড়ুন
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের অকাণ্ড, জীবন গেল নাতির
ঝালকাঠির এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পরবিস্তারিত পড়ুন